ঢাকা, শনিবার   ১১ জানুয়ারি ২০২৫

ব্রেক্সিট ইস্যুতে হেরে গেলেন তেরেসা মে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৪:৫৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো ব্রেক্সিট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া) ইস্যুতে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে এক বিলের উপর এই প্রথমবারের মতো হেরে গেলেন তেরেসা। টরি পার্টির ১১ এমপির বিরোধিতার মুখে তেরেসা মে কে এবার ঘরেও লড়তে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চূড়ান্ত ব্রেক্সিট হওয়ার পূ্র্বে সংসদকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার পক্ষে মত দেন তারা। এতে ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপিয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পূর্বে নিজ ঘরে এর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে হবে তাকে। বিরোধী দলের এই ভোট সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে বলে মনে করছে তেরেসা মে। ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপিয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা যখন প্রক্রিয়াধীন, তখন নিজঘরের বিরোধীতা মে কে বিব্রত করেছে বলে মনে করছেন তারা।

এর আগে বিরোধী দলের সঙ্গে ঐক্যমতে পৌছানোর জন্য তেরেসা মে সংসদে একটি সংশোধনী বিল আনে। সরকারের বিরোধীতাকারীদের মধ্যে কনজারভেটিব পার্টির সাবেক ৮ মন্ত্রীও রয়েছেন। ওই ভোটের পর কনজারভেটিব পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান স্টিফেন হ্যামন্ডকে বহিস্কার করা হয়েছে। এদিকে এই পরাজয়কে হতাশার বলে মন্তব্য করেছেন সরকারি দল।

লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলছেন, তেরেসা মের ইউ সম্মেলন সামনে রেখে এই পরাজয় সরকারের জন্য একটি অপমানের বিষয়। বিবিসির প্রতিনিধি জানায়, হাউজ অব কমন্সে এই প্রথমবারের মতো তেরেসা মে হেরে গেলেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি ইউ নেতাদের সঙ্গে ব্রেক্সিট ইস্যুতে বসতে যাচ্ছেন। 

সরকারে এক মন্ত্রী বিবিসির এক প্রতিবেদককে জানান, এই পরাজয় ব্রেক্সিটের জন্য খারাপ। একইসঙ্গে সাংসদদের আচরণে তাঁরা খুবই উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছে। ২০১৯ সালের মার্চ নাগাদ ব্রিটেন ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই লক্ষ্যে ব্রেক্সিট পরবর্তী দেশটির সঙ্গে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সম্পর্ক কেমন হবে, তা নিয়ে দুইয়ের মধ্যে দর কষাকষি চলছে। 

ব্রেক্সিট পরবর্তী ইউরোপিয় ইউনিয়নের আইনগুলো ব্রিটেনে কর্তৃত্ব হারাবে। সরকারের ইচ্ছা ইউরোপিয় ইউরোপিয় ইউনিয়নের আইনগুলোকে ব্রিটেনের আইনে পরিণত করা। এ লক্ষে সরকার বেশ কয়েক দফা প্রস্তাবনা আনলেও কয়েকজন এমপি এর বিরোধীতা করে আসছিলেন। তারা ইউরোপীয়য় আইনগুলো না রেখে বরং নতুন আইন প্রণয়ন করতে বার বার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে  সেই চেষ্টা সফলতার মুখ দেখল। শুধু তাই নয়, চূড়ান্ত ব্রেক্সিটের আগে সংসদকে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার জন্যও তারা মত দেন। এতে ব্রেক্সিট ইস্যুতে আরও বেকায়দায় পড়তে হতে পারে  তেরেসা কে। এর কারণ হিসেবে ওই প্রতিবেদক বলেন, নতুন করে আইন পাশ করাতে হলে অনেক সময়ের দরকার হবে। এতে কেবল বিলম্ব-ই হবে না, ইউরোপিয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গেও আবার নতুন করে আলোচনা শুরু করতে হবে। এতে ব্রেক্সিট কার্যকর হতে আরও বিলম্ব হবে, যা সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

এমজে/ এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি