ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ব্লু -ইকোনমিক দেশের অর্থনীতির ব্যাপক পরিবর্তন আনবে: দীপু মনি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০১, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৭:২৮, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডক্টর দীপু মনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে সুবিশাল সমুদ্রসীমা অর্জিত হয়েছে তা যথাযথ ব্যবহারে কাজ করছে সরকার। পাশাপাশি ব্লু ইকোনমিক পলিসি এবং দেশের মেরিটাইম ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছেন। এক সময় ব্লু ইকোনমিক দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ২ দিনব্যাপী মেরিটাইম শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগে মানুষ নৌকা কিংবা মাছধরা ট্রলারে, দিনের পর দিন বিশাল জলরাশি পাড়ি দিয়ে, গভীর সাগরে যেত মাছ শিকারে। এখনো সে ধারা অব্যাহত। তবে অনেকে সনাতন পদ্ধতি ছেড়ে আধুনিক ফিসিংবোট ব্যবহার করে। আর এ মাছ ধরাই ছিল সাগর থেকে উপার্জনের প্রধান উৎস। কিন্তু এখন সে ধারণা পাল্টে গেছে। তৈরি হয়েছে সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতি যাকে বলা হয় ‘ব্লু-ইকোনমি’।

তিনি আরও জানান, শুধু মাছ ধরা নয়,সমুদ্র থেকে আহরিত তেল ও গ্যাসের অর্থ ব্যবস্থাপনাকে ব্লু-ইকোনমি বলা হলেও এর ব্যাপ্তি আরো বিস্তৃত্ব। বঙ্গোপসাগরে পর্যাপ্ত তেল-গ্যাস ছাড়াও রয়েছে বিপুল সম্ভাবনা। লবণ, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ বা ব্লু-এনার্জি, খনিজ বালি, সমুদ্রকেন্দ্রিক পর্যটন, কৃত্রিম দ্বীপ সৃষ্টি করে কৃষি সম্প্রসারণ এখন সম্ভাবনার দ্বার প্রান্তে।

শুধু তাই নয়, সমুদ্রকে কেন্দ্র করে সামুদ্রিক জলজ পণ্য, সামুদ্রিক জৈব্যপ্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণশিল্প, আন্তর্জাতিক নৌপরিবহন, উপকূলীয় নৌপরিবহন এবং সমুদ্রনির্ভর ওষুধশিল্পও গড়তে পারে বাংলাদেশ। এসব উৎস থেকে আয় সামগ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে।

নিকট প্রতিবেশী দেশ ভারত ও মিয়ানমার। দেশ দুটো বর্তমানে সমুদ্র থেকে তেল ও গ্যাস আহরণ করছে। সমুদ্রসীমান্ত লাগুয়া এ দুটি দেশের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থাকায়, দেশের সম্পদ শোষিত হওয়ার শঙ্কা বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতায় আমাদের এ সম্ভাবনাকে  কাজে লাগাতে চেষ্টা করছে সরকার। ব্লু ইকোনমিক মাধ্যমে দারিদ্র ও বৈষম্য নিরসন  সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।

সেমিনারের সমাপনী দিনের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের পরিচালক পরিষদের সভাপতি অ্যাম্বাসেডর মুন্সী ফয়েজ আহমেদ, তিনি তার প্রবন্ধের বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ ও ব্লু ইকোনমিক্স লক্ষ্য সমূহ বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈদেশিক নীতির উপর আলোকপাত করেন।

এছাড়া প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অফ পোস্ট মাউন্ট ইউকে এর প্রফেসর ডঃ পিয়েরে ফেলার। ফেলার তার প্রবন্ধের টেকসই মিরিটাইম মেরিটাইম ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত প্রকল্পে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা সমূহের মাঝে সমন্বয় সাধনের উপর আলোকপাত করেন।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি