তারকালাপে কল্যাণ কোরাইয়া
বড়দিন আর বিয়ে নিয়ে বেশ আনন্দে আছি
প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:১৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
আজ বাংলা ১১ই পৌষ ১৪২৪, শীতকাল। ২৫শে ডিসেম্বর ২০১৭, সোমবার। আজ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’। প্রতিবছর আজকের এই দিনটিতে রোমান ক্যাথলিক ও প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চের অনুসারীরা যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন উপলক্ষে এই উৎসব পালন করে। খ্রিস্টীয় ২০০ সাল থেকে এ উৎসব পালন শুরু হয়। ক্রিসমাস যদিও ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে উদ্ভুদ্ধ তথাপি এটি এখন সার্বজনীন ধর্ম নিরপেক্ষ উৎসবে পরিণত হয়েছে। বড়দিনে ইটিভি অনলাইনের আজকের তারকালাপে কথা হয় জনপ্রিয় অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়ার সঙ্গে। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন- সোহাগ আশরাফ
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইন : কেমন আছেন? আপনাকে বড়দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শুভ বড়দিন।
কল্যাণ কোরাইয়া : শুভ বড়দিন। অনেক ভালো আছি। কারণ সারাদিনে অনেক অনেক প্লান রয়েছে।
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইন : সব সময় তো কাজ নিয়ে আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। বড়দিনটা কিভাবে উদযাপন করেন?
কল্যাণ কোরাইয়া : আজকে আমার মনে হচ্ছে যে আমি স্বর্গে আছি। ক্রিসমাস তো প্রতি বছরই করা হচ্ছে। এবার ক্রিসমাসটা একটু অন্যরকম। কিছুটা রিলাক্স লাগছে। কারণ কিছুদিন আগে আমি লম্বা একটা সময় জঙ্গলে কাটিয়েছি। শুটিং এর একটা কাজে প্রায় ১৩-১৪ দিন সেখানে থাকতে হয়েছে। সেখানে থেকে এসে শহরের এই আমেজ, কিছুদিনের বিরতি আর রিলাক্স ভালো লাগছে। ছোট বেলাতে যেমন বার্ষিক পরীক্ষা হলে একটু শান্তি লাগতো তেমনই লাগছে। দীর্ঘদিন কাজ করে এসে একটু বিরতি, তারউপর একটা বড় উৎসব, আত্মিয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা, মজার মজার খাবার, নতুন পোশাক সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে আমি স্বর্গেই আছি।
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইন : ছোট বেলার বড় দিন আর এখনকার বড়দিন কোনটাকে বেশি উপভোগ করেন?
কল্যাণ কোরাইয়া : মাঝে মাঝে মনে হয় ছোট বেলার বড়দিনটাই বেশি ভালো ছিলো। আমি প্রায়ই বলি ছোট বেলার বড়দিনটা আমি বেশ উপভোগ করতাম। ছোট বেলায় এ সময়টাতে স্কুলের পরীক্ষা শেষ হলে মনে হতো স্বাধীন হয়ে গেলাম। তখন মনে হতো আমি আকাশে উড়বো। মার্কেটে যাবো, কেনাকাটা করবো, বাতিওয়ালা জুতা কিনবো, ব্যাটবল কিনবো। মানে ছুটির দিনগুলো কিভাবে উপভোগ করা যায় তার ব্যাপক প্রস্তুতি নিতাম। ছোট বেলাতে গ্রামেই বড়দিন পালন করতাম। এখন যাওয়া হয় না। তখন আত্মিয়দের মধ্যে অনেকেই ছিলো যারা বিয়ে করেননি। সবাই মিলে অনেক আনন্দ করতাম। এখন সেই জিনিসটা মিস করি।
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইন : বিশেষ দিন মানেই বিশেষ বিশেষ খাবার। আজকের দিনটাতে মায়ের হাতে কোন খাবারটা খেতে বেশি পছন্দ করেন?
কল্যাণ কোরাইয়া : যদিও আমি আজ বলেছি খুবই সাধারণ খাবার খেতে চাই, কারণ কাল থেকে ভারি খাবারের একটা আয়োজন চলছে। কাল নতুন জার্নি শুরু হচ্ছে। এমনিতেই অনেকটা ভারি হয়ে গেছি তারপরও মনে হচ্ছে এই ধাক্কায় আরও মনে হয় দশ কেজি বেড়ে যাবো। বিয়ের পর নিজের বাড়ি, আত্মিয়-স্বজনদের বাড়ির আপ্যায়নে হয়তো আরও বেশি ফুলে যেতে পারি। সেজন্য আজ মাকে বলেছি যতোটুকু পারো আজ নরমল খাবার তৈরি করো।
তবে মায়ের হাতের টাকি মাছের ভর্তা আমার খুব ভালো লাগে। এরপর সরিষা ইলিশ, পোলাও অনেক ভালো লাগে।
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইন : আমরা শুনেছি আপনি নতুন জীবনে যুক্ত হতে যাচ্ছেন। মানে আপনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সে জন্য কি এবারের বড় দিনটিকে আলাদা মনে হচ্ছে?
কল্যাণ কোরাইয়া : অবশ্যই আলাদা মনে হচ্ছে। কারণ যেটা আমি আগে কখনও করিনি সেটা এবার করতে যাচ্ছি। বিয়ের প্রস্তুতি, বড়দিনের প্লানিং, বড়দিনের গোছগাছ, চার্চে যাওয়া, বাসায় দুপুরের রান্না-বান্নার প্রস্তুতি চলছে। সব মিলে বাসায় একটু বাড়তি প্রস্তুতি চলছে। কারণ একদিন পরেই বিয়ে। হই চৈই চলছে। নিজের বাসায় নিজেই জায়গা পাচ্ছি না। কেই নাচানাচি করছে, বাচ্চারা খেলাধুলা করছে, অতিথিরা আসছে, খাওয়া-দাওয়া চলছে, আড্ডা দিচ্ছে, বিয়ের প্লানিং করছে কেউ কেউ। মোটকথা ক্রিসমাস উপলক্ষে যতটুকু উৎসব হওয়ার কথা, বিয়ের আগাম প্রস্তুতি বড়দিনকে আরও বেশি আনন্দদায়ক করেছে।
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইন : আজকের দিনটি কি শুধুই পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন, নাকি বন্ধু-বান্ধব মিলে কোথাও আড্ডা দিবেন?
কল্যাণ কোরাইয়া : ক্রিসমাস আমি সব সময়ই পরিবারের সঙ্গে করি। আমাদের তো প্রধান দুটি উৎসব। ক্রিসমাস এবং ইস্টার সানডে। এই দুটি উৎসব চেষ্টা করি পরিবারের সঙ্গেই কাটাতে। তবে এর মধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত তো হয়ই। নিজে গিয়ে আড্ডা মারি। তারা বাসায় আসে। তবে বেশিরভাগ সময়ই পরিবারকে দেই।
একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইন : অনেক ভালো লাগলো কথা বলে। নতুন জীবনের জন্য শুভ কামনা রইলো।
কল্যাণ কোরাইয়া : ধন্যবাদ। আবারও সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাই। আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবাই দোয়া করবেন।
এসএ/