ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভাইরাস জ্বর নিরাময়ে যা করবেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৯, ১৯ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:০৫, ২০ জুন ২০১৭

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

ভাইরাস জ্বর বর্তমানে খুবই সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ ভাইরাস জ্বর নিজে নিজেই ভালো হয়ে যায়, কোন ঔষধের প্রয়োজন হয়না। ডাক্তাররা ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে অনেক বেশি তরল খাদ্য গ্রহণ ও বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিছু সহজ ও ঘরোয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে খুব সহজেই ভাইরাস জ্বর থেকে নিরাময় লাভ করা সম্ভব। আমাদের শরীরে ভাইরাসের আক্রমণের ফলে কিছু উপসর্গ সহ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ভাইরাস জ্বর হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিক ধারণা পেয়ে থাকি। তবে এরকম উপসর্গ দেখা দিলে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ভাইরাস জ্বর শনাক্ত করতে হবে।

ভাইরাস জ্বরের লক্ষণ সমূহ:
 শরীরে জয়েন্টে ও মাংস পেশিতে ব্যথা অনুভব করা, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা থাকা, শরীরে খুব বেশি ক্লান্তি অনুভব করা, শরীরের তাপমাত্রা কম থাকতে পারে আবার অনেক বেশিও হতে পারে, গলায় ব্যথা অনুভব করা, নাক দিয়ে পানি পড়া, গলা ভেঙ্গে যাওয়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ জ্বালা করা, কফ থাকা এবং ডায়রিয়া হওয়া।
 
ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে এই সবগুলো লক্ষণই যে প্রকাশ পাবে এমন কোন কথা নেই। কিছু ভাইরাস জ্বর পতঙ্গের কারণেও হয়ে থাকে। যেমন- আরবোভাইরাস। এই ভাইরাসের আক্রমণে রক্তপাতের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। রক্তপাত ত্বক থেকে বা শরীরের অভ্যন্তরীণ কোন অঙ্গ থেকেও হতে পারে। সঠিক সময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা না নিলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় ভাইরাস জ্বর সনাক্ত করা গেলে কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায়ে সুস্থতা লাভ করা যায়। চলুন তাহলে ঘরোয়া উপায়গুলো জেনে নেই।

বেশি করে পানি পান করুন:
 ভাইরাস জ্বরে শরীরে পানি শূন্যতা হতে পারে। তাই ডিহাইড্রেশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া  থেকে রক্ষা পেতে প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে।

 
সতর্কতা অবলম্বন :
 ভাইরাস জ্বর হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এই সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। যেমন- নিয়মিত হাত ধোয়া, ভিড় এড়িয়ে চলা, ভিড়ের মধ্যে গেলে মুখ ঢেকে রাখা যাতে অন্যরা সংক্রমিত না হয়, হাত না ধুয়ে মুখে বা নাকে স্পর্শ না করা এবং রুমাল বা টিস্যু হাতের কাছেই রাখা। অন্য কারো কাছ থেকেও যাতে আপনার শরীরে নতুন কোন জীবাণুর সংক্রমণ না হয় এই জন্য সতর্কতা গুলো মেনে চলা উচিত।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম:
ভাইরাস জ্বরে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পরে। এই সময় অনেক বিশ্রাম নিতে হবে। তাহলেই শরীর তার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে।

পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও এনার্জি বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই প্রচুর কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাট সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সহজে হজম হয় এই ধরণের খাদ্য নির্বাচন করতে হবে।

শরীরের কোন দাগ দেখলে সতর্ক হোন:
বেশির ভাগ ভাইরাস জ্বরে শরীরে ক্ষত, ফোস্কা বা চুল্কানি হতে দেখা যায়। এই রকম কিছু লক্ষ্য করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ইমিউনিটি বাড়ান:
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য ভিটামিন সি, জিঙ্ক ও ভিটামিন ডি গ্রহণের দিকে মনোযোগী হতে হবে।তাহলেই দ্রুত আরোগ্য লাভ করা সম্ভব হবে।

ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ গ্রহণ নয়:

ভাইরাস জ্বরের নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই। লক্ষণ দেখে প্রতিকারের ব্যবস্থা নিতে হয়। তাই নিজে থেকে কোন ঔষধ গ্রহণ করবেন না। এতে বরং পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। মনে রাখবেন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যাক্টেরিয়ার জন্য ভাইরাসের জন্য নয়।

ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত হলে এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করুন। তাতে খুব দ্রুতই সুস্থ্যতা ফিরে পাবেন।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি