ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভাত হোক ঢেঁকিছাঁটা চালের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:১০, ২৫ জানুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১০:১৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২০

ঢেঁকিছাঁটা চাল, ছবি: সংগৃহীত

ঢেঁকিছাঁটা চাল, ছবি: সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

বাঙালি মানেই ভাত। আর সাদা ধবধবে ভাত অর্থাৎ পলিশ করা সরু চালের ভাত সবার পছন্দ। এমন চালের ভাত খাওয়ার প্রবণতা শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু জানেন কী, চাল যত চকচকে হবে এর গুণ তত কম হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশ্বজুড়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণের মধ্যে পলিশ করা চালের ভাতও একটি। 

এক সময়ে গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের বাসিন্দারাও ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেতেন। এখন সেই অভ্যাসটি হারিয়ে গেছে। খাদ্যোপযোগী ঢেঁকিছাটা সিদ্ধচাল প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে ১২.৬ জলীয় অংশ গ্রাম, ০.৯ খনিজ গ্রাম, খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি) ৩৪৯ গ্রাম, আমিষ ৮.৫ গ্রাম, চর্বি ০.৬ গ্রাম, শর্করা ৭৭.৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১০ মিলি গ্রাম, লৌহ ২.৮ গ্রাম,
ক্যারোটিন ৯ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন -১ ০.২৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন -২ ০.১২ মিলিগ্রাম।

বর্তমানে ওবেসিটির কারণে বদলে যাচ্ছে খাবারের ধরন। ওজন কমানোর চিন্তায় আমরা বেছে নিচ্ছি নানা বিকল্প। শরীর চর্চার সঙ্গে সঙ্গে আমরা অনেকে লো ফ্যাট ডায়েটে অভ্যস্ত হচ্ছি। এর ফলে একটু বয়স বাড়লেই ক্যালসিয়ামের অভাব, হাড়ক্ষয়, গাঁটে ব্যথা দেখা দেয়।

ভাত আমাদের শর্করা এবং আমিষ দুটোই সরবরাহ করে। কিন্তু পলিশ করা চালের ভাত কম খাওয়া পরিহার করে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেলে আপনি শর্করা ও আমিষ দুটোই পুরাপুরি পাবেন। আর স্বাদ যেমন বাড়বে তেমনি পুষ্টিও থাকবে ঠিকঠাক। তাই তো বিশেষজ্ঞরা ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রেন অর্থাৎ শস্যদানার আদি রূপ হল গ্রেন। প্রসেসিং ও পলিশিংয়ের পাল্লায় পড়ে তার ওপরের উপকারী অংশটাই হারিয়ে যাচ্ছে। আর ক্ষতিটা এখানেই। তাই ভাত খাওয়া বাদ না দিয়ে ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত ডায়াবেটিস রোগীরা খেতেই পারেন। 

এছাড়া হাঁটু এবং কোমরের ব্যথায় যারা ভুগতেন, তারা ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খেলে অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবেন। 

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি