ভারত থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরল ৫০ কিশোর-কিশোরী
প্রকাশিত : ০৯:২১, ২ জুন ২০২৩
কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে, কেউ ভালো কাজের আশায় অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফিরল ৫০ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় তাদের ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনার কাউন্সিলর তুসিতা চাকমা, বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব, পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া, চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহাবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তারা।
ফেরত আসাদের মধ্যে কিশোর ২৮ জন, কিশোরী ২২ জন। তাদের মধ্যে ৪৬ জনের বয়স ৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে এবং বাকি চারজনের বয়স ২০ বছরের মধ্যে। দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা তারা।
ফিরে আসারা জানায়, তারা বিভিন্ন মেয়াদে ভারতে কারাভোগ করেছে। দুই দেশের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরতে পেরেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে রাতেই তিনটি এনজিও তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য যশোর শেল্টার হোমে নিয়ে যাবে।
ভারতের কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশনারের কাউন্সিলর তুসিতা চাকমা কলকাতা থেকে ওই কিশোর-কিশোরীদের সঙ্গে বেনাপোল চেকপোস্টে এসেছিলেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দালালের খপ্পরে পড়ে ভালো কাজের আশায় আবার কেউ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে ভারতে যায়। বিভিন্ন অঞ্চলে বাসা বাড়িতে কাজ করার সময় তারা ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। এদের ২ থেকে ৪ বছর সাজা হয়। সাজাভোগের পর তারা দেশে ফিরে এসেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বলেন, পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্তের অবৈধপথে ভারতের কলকাতার বিভিন্ন শহর এলাকায় গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পেশার কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয় তারা। পরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠালে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয় বিচারক। সাজা শেষ হলে তাদের ছাড়িয়ে সে দেশের একটি বেসরকারি এনজিও নিজেদের শেল্টার হোমে রাখে।
কিশোরীরা ছিল ভারতের কলকাতার লিলুয়া হোম, সুকন্যা ও সংলাপ শেল্টার হোমে। আর কিশোররা ছিল ধ্রাবাশ্রম ও কিশলয় শেল্টার হোমে। পরে উভয় দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
পোর্ট থানা থেকে যশোরের এনজিও সংস্থা রাইটস যশোর ১০ জন, জাস্টিক অ্যান্ড কেয়ার ২৫ জন ও জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ১৫ জনকে গ্রহণ করে যশোরে তাদের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখবেন। পরে তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানান রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।
এএইচ
আরও পড়ুন