ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, যুদ্ধের আশঙ্কা
প্রকাশিত : ১৯:২৮, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২৯, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। নয়াদিল্লি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত, সীমান্ত বন্ধ, পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল।
হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) নামের একটি গোষ্ঠী। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার ছদ্মবেশী সংগঠন। পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে, যদিও তারা কাশ্মীরিদের স্বায়ত্তশাসনের দাবিকে নৈতিকভাবে সমর্থন করে বলে জানিয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, এই হামলার ‘কড়া ও স্পষ্ট জবাব’ দেওয়া হবে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার মতো এবারও ভারত সীমান্ত পেরিয়ে পাল্টা হামলা চালাতে পারে। তাদের মতে, একবার উত্তেজনার পালা শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
এদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার ভারতের পদক্ষেপগুলোকে ‘শিশুসুলভ’ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশ্লেষক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, “দুই পরমাণু শক্তিধর প্রতিবেশী এখন একে অপরের দিকে আক্রমণাত্মক চোখে তাকিয়ে আছে। এখন কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়।”
কাশ্মীরের স্থানীয় জনগণও এই হামলায় ক্ষুব্ধ। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে এবং প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা বলছেন, “পর্যটকরাই আমাদের জীবন।”
বর্তমান পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও অবনতি হতে পারে এবং যুদ্ধের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এসএস//
আরও পড়ুন