ঢাকা, শুক্রবার   ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ভারত পানির ন্যায্য হিস্যা না দিলে করণীয় কী? বললেন তারেক রহমান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২২, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। এসব নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা কারও করুণার বিষয় নয়, দেশের মানুষের প্রাপ্য।  ভারত যদি পানির ন্যায্য হিস্যা না দেয় বা দিতে যদি দেরি করে, তিস্তা চুক্তি করতে অনীহা প্রকাশ করে, তাহলে দেশ ও জনগণের স্বার্থে কৃষি, কৃষক ও নদী বাঁচাতে তিস্তা সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদেরই বাঁচার পথ খুঁজে নিতে হবে।

বুধবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে লালমনিরহাটে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের এক কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

তারেক রহমান বলেন, পানি বণ্টন নিয়ে ভারত অপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ করছে। ফারাক্কার পর তিস্তা আরেকটি অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণ থেকে বাঁচাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনও বিকল্প নেই। রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এ বিষয়ে সবধরণের উদ্যোগ নেবে বিএনপি।

দেশের নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে কালক্ষেপণ না করে বাংলাদেশকে ১৯৯২ সালের ‘ওয়াটার কনভেনশন’ ও ’৯৭ সালের জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশনে স্বাক্ষর করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক উদ্যোগের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলকে মরুকরণের হাত থেকে বাঁচাতে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নেই।’

ভারতের সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, পানি বণ্টন নিয়ে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অপ্রতিবেশীমূলক আচরণ করেই চলেছে। প্রায় ৫০ বছর হলো ফারাক্কার অভিশাপ থেকে বাংলাদেশ মুক্তি পায়নি এখন আবার তিস্তা বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ হিসেবে দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে আমাদের প্রতিবেশী উজানের গজলডোবায় বাঁধ নির্মাণ করে তিস্তার স্বাভাবিক পানিপ্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের এই অপ্রতিবেশীমূলক আচরণের কারণে উত্তরাঞ্চলের লাখো কোটি জনগণ বন্যায়-খরায় দুর্বিষহ জীবন পার করছে। তিস্তার বুকে ধু ধু বালুচর। একদিকে পানির অভাবে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার ফসল আবার হঠাৎ করে উজান থেকে ছেড়ে দেওয়া পানিতে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষকের আবাদি ফসল বন্যায় ভাসিয়ে দিচ্ছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ৫ আগস্টে একজন খুনি-স্বৈরাচার পালিয়ে গেছে। এই স্বৈরাচার একবার বলেছিল ভারতকে যা দিয়েছি তারা সারাজীবন মনে রাখবে। ভারত শুধু স্বৈরাচারকে মনে রেখেছে, বাংলাদেশের জনগণকে তারা মনে রাখেনি। সেজন্য পানির ন্যায্য হিস্যাবঞ্চিত তিস্তাপাড়ের মানুষের মনে প্রশ্ন পলাতক স্বৈরাচারকে আশ্রয় দেওয়া ছাড়া ভারত আর কিছু দেয়নি।’

বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতার দায়িত্ব পেলে আগামী দিনে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের সবরকমের উদ্যোগ গ্রহণের অঙ্গীকার জানান তিনি।

এমবি//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি