ঢাকা, সোমবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতে আটক ৭৮ নাবিক ফিরবে কবে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নিজ দেশের সীমানার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড কর্তৃক ধরে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ৭৮ নাবিক ও জেলেসহ দুটি মাছ ধরা ট্রলার এখনো ওডিশার প্যারাদ্বীপ উপকূলে নোঙর করা রয়েছে। তবে তাদের ছাড়িয়ে আনতে দিই দেশের মধ্যে নানা তৎপরতা দেখা দিলেও এখনও মুক্তি মেলেনি সেই ৭৮ নাবিকের। 

এদিকে আটক নাবিকরা কেমন আছেন, তাদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, কবে নাগাদ তারা ফিরতে পারবেন- এ নিয়ে স্বজনদের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। 

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সামুদ্রিক মৎস্য অধিদফতরের পরিচালক আবদুস সাত্তার জানান, আটক নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে। স্থানীয়ভাবে আটকদের খাবার সরবরাহ করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশে আটক জেলেদের মুক্তির বিনিময়ে ৭৮ বাংলাদেশিকে ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দিয়েছে ভারতীয় পক্ষ।

আটক এফভি মেঘনা-৫ জাহাজের মালিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের ম্যানেজার (অপারেশন) আনসারুল হক 
বলেন, বাংলাদেশে আটক ভারতীয় জেলেদের ছাড়িয়ে নিতে চাপের কৌশল হিসেবে ভারতীয় কোস্টগার্ড বাংলাদেশি নাবিক ও জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে। বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে দেশের কারাগারে রয়েছেন। গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বরের মধ্যে তাদের আটক করা হয়।

অন্যদিকে আটক হওয়ার দুইদিন পর গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে ভারতীয় কোস্টগার্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়। একটি ছবিতে নাবিকদের একটি ট্রলারের ডেকে মাথার পেছনে দু‘হাত রেখে হাঁটু গেঁড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। আর দুটি ছবিতে ট্রলারগুলো দেখা গেছে।

ভারতের কোস্টগার্ড ফেসবুক পেজে ছবি তিনটি প্রকাশ করে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারাদ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।

সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, গত বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে ট্রলারের নাবিকদের সঙ্গে স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। তারা এখনো উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে অবস্থান করছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদফতরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, নাবিকসহ ট্রলার দুটি ফিরিয়ে আনতে কোস্টগার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলো ভারতের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগসহ সার্বিক কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে বঙ্গোপসাগরে খুলনায় হিরন পয়েন্ট এলাকা থেকে ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ট্রলার দুটি হলো- এফভি লায়লা-২ ও এফবি মেঘনা-৫। এর মধ্যে এফভি লায়লা-২ এস আর ফিশিং নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। এফভি মেঘনা-৫ চট্টগ্রামভিত্তিক সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।

এসএস//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি