ভারতে গিয়ে যা বললেন চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী
প্রকাশিত : ১৮:২৯, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতের পশ্চিবঙ্গের জেলা ব্যারাকপুরে এসে বাংলাদেশের সনাতন মঞ্চের মুখপাত্র আটক চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ বলেছেন, পালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতে আসিনি। ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আবারও চট্টগ্রাম আদালতে যাব।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ব্যারাকপুরে কলকাতার অনলাইন আনন্দবাজারের কাছে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, সম্প্রতি চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ।
আনন্দবাজারকে রবীন্দ্র ঘোষ বলেন, আমি মরতে ভয় পাই না। আমি শুধু আইনজীবী নই, এক জন মানবাধিকার কর্মীও।
তিনি আরও বলেন, পালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতে আসিনি। ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আদালতে যাব।
এদিকে রবীন্দ্রের পুত্র রাহুল ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানান, দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাড়ে চোট পেয়েছিলেন ওই আইনজীবী। অস্ত্রোপচারের পর রুটিন চেকআপের জন্যই রবীন্দ্র ভারতে এসেছেন বলে জানান রাহুল। এপারে কোনও চিন্তা না-থাকলেও বাংলাদেশে বাবার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তার কথা জানান তিনি।
রাহুল আরও জানান, ভারতে আসতে তার বাবাকে পরিচিতেরা সাহায্য করেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২ জানুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবীর জামিনের মামলার শুনানি রয়েছে চট্টগ্রাম আদালতে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।
চলতি মাসের শুরুতে চিন্ময়কৃষ্ণের দাসের রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি আদালতে উঠলেও নিজের পক্ষে কোনও আইনজীবীকে পাননি সনাতনী জাগরণ জোটের এই মুখপাত্র। পরে আদালত তার মামলাটি এক মাস পিছিয়ে দেন।
ওইদিন চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র।
চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন বিষয়ে চট্টগ্রামের আদালতে মোট তিনটি আবেদন জানান তিনি।
যে মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সেই মামলায় তার পক্ষে আইনজীবী হিসাবে লড়ার জন্য আবেদন করেন। পাশাপাশি, চিন্ময়ের জামিনের মামলাটির শুনানি এগিয়ে আনার আবেদনও করেন। কিন্তু হই হট্টগোলের জেরে মামলার শুনানিই হয়নি।
সেই সময় আদালতে রবীন্দ্র বলেছিলেন, চিন্ময়কৃষ্ণের হয়ে এখানকার কোনও আইনজীবী লড়তে চাইছেন না। আমি আবেদন করেছিলাম। বিচারক তা মঞ্জুর করতে চাইছিলেন। কিন্তু সে সময়ে আদালত কক্ষে শতাধিক আইনজীবী আমার বিরোধিতায় চিৎকার করতে থাকেন। আমার আবেদন না-মঞ্জুর হয়েছে।
উল্লেখ্য, চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তারের পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এই নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। চট্টগ্রাম, রংপুরে চিন্ময়ের আটকের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে মিছিল সমাবেশ করেন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
এসএস//
আরও পড়ুন