ভারতে পাচার হওয়া ২০ কিশোর-কিশোরীকে হস্তান্তর
প্রকাশিত : ১০:১৪, ১ মে ২০২৪
ভাল কাজের প্রলোভনে দালালদের মাধ্যমে ভারতে পাচারের শিকার হওয়া ২০ জন বাংলাদেশী কিশোর-কিশোরীকে দীর্ঘ এক বছর পর বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে এসব পাচার হওয়া কিশোর-কিশোরীদের হস্তান্তর করে।
এদের মধ্যে ১৭ জন কিশোরী ও ৩ জন কিশোর। এরা বিভিন্ন মেয়াদে (৬ মাস থেকে ১ বছর) কারাভোগ শেষে ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল হয়ে দেশে ফিরেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের কলকাতার বাংলাদেশস্থ উপহাইকমিশনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন, শার্শার সহকারি কমিশনার (ভূমি) নুসরাত জাহানসহ বিজিবি, পুলিশ ও দুইদেশের মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন বলেন, এই কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন সময়ে ভারতে পাচার হয়ে যায়। পরে দু‘দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে ফেরত আনা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এখানে অনেক এনজিও সংস্থাও কাজ করছে তাদের দেশে আনার ব্যাপারে।
ফেরত আসারা হলো- খুলনা জেলার অনন্যা রায় (১৬), উর্মি আক্তার (২১), আছিয়া খাতুন (৬), গোপালগঞ্জের কামনা বিশ্বাস (১৭), প্রান্তি বিশ্বাস (১৮), বৃষ্টি বারই (৮), পুজা রায় (১৫), বাগেরহাট জেলার নাদিরা শেখ (১৯), চাঁদপুর জেলার আবৃত্তি শীল (৮), ঢাকার কেরানীগঞ্জের রাবেয়া আক্তার (১৫), জোৎনা আক্তার (১৪), কথা মন্ডল (৮), মগবাজারের ত্রিশা আক্তার (১৭), কুমিল্লার ফারজানা আক্তার ববি (২১), গাজিপুর জেলার তমা রানি সুত্রধর (১৯), সাতক্ষীরা জেলার নাহিদ হাসান (১৩), পিরোজপুর জেলার ওয়ালিদ খান (১৬), বরগুনা জেলার রাকিব হোসেন (১৬), শরিয়তপুর জেলার জগুনা বিবি (১৮) ও বেনাপোলের জান্নাত শেখ (১৭)।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, দালালদের প্রলোভনে পড়ে এরা পাসপোর্ট বাদে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হয়। এরপর ভারতের পুলিশের কাছে তারা আটক হয়ে বিভিন্ন শেল্টার হোমে ছিলেন আদালতের মাধ্যেমে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে জাষ্টিস এন্ড কেয়ার নামের একটি এনজিও ৭ জনকে, রাইটস যশোর ৮ জনকে ও মহিলা আইনজীবী সমিতি ৫ জনকে গ্রহণ করবে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে।
এনজিও সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের এরিয়া কোয়ার্ডিনেটর মুহিত বলেন, এরা ভারতের পশ্চিবঙ্গ রাজ্যে পাচার হয়ে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর সেদেশের পুলিশের কাছে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যমে ভারতের হাওড়া, ২৪ পরগণা জেলা, নদীয়া, কুচবিহার, কলকাতার শেল্টার হোমে থাকে প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর। দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিঠি চালাচালির মাধ্যমে তারা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোলে হয়ে দেশে ফিরেছেন।
যশোর নিজ নিজ শেল্টারহোমে নিয়ে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
এএইচ
আরও পড়ুন