ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে পালানোর সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:০০, ১৭ অক্টোবর ২০২৪ | আপডেট: ১৪:০৫, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

যশোরের বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবন থেকে তাকে আটক করা হয়। 

রুস্তম খন্দকার নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার লালপুর গ্রামের তারা খন্দকারের ছেলে। তিনি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভারত যাচ্ছিলেন। তার পাসপোর্ট নং-অ ১৪৪২০৬০১।

আটক রুস্তম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার একটি হত্যা মামলার আসামি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত ২৯ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি একেএম শামীম ওসমানসহ তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়। মামলা নম্বর-৩৪৩।

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারতে যাওয়ার জন্য আজ সকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভবনে প্রবেশ করেন রুস্তম খন্দকার। এ সময় তার চলাফেরা দেখে ইমিগ্রেশনে কর্মরত পুলিশের সন্দেহ হয়। 

জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা জানতে পারেন, রুস্তম খন্দকার নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং তিনি ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত আদিল হত্যা মামলার ১৭১ নম্বর আসামি। 

এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বন্দর পোর্ট পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওমর ফারুক মজুমদার বলেন, ইমিগ্রেশনে রুস্তম খন্দকারকে দেখে হাইপ্রোফাইল (গুরুত্বপূর্ণ) ব্যক্তি বলে মনে হলে গুগলে তার নাম-ঠিকানা লিখে খুঁজে দেখেন। তখন তার রাজনৈতিক পরিচয় জানতে পারেন। পরে ফতুল্লা থানায় যোগাযোগ করে জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা কিশোর আদিল হত্যা মামলার আসামি তিনি। তখন তাকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। 

তাকে ফতুল্লা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হবে বলে তিনি জানান। 

এর আগে বুধবার রাতে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় হত্যা মামলার আসামি শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল ও ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী থানার অন্দর কোঠা গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে মাহাদী হাসান সোহেল (৩২)কে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও থানায় হত্যা মামলা রয়েছে।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি