ভারতের উত্তরাখণ্ডে ১৭০ মাদ্রাসা সিলগালা
প্রকাশিত : ২২:০৫, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি জেলায় আরও সাতটি মাদ্রাসা সিলগালা করেছে রাজ্য প্রশাসন। এর ফলে রাজ্যজুড়ে সিল হওয়া মাদ্রাসার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অন্তত ১৭০-এ। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম মুসলিম মিরর।
রাজ্যের কর্মকর্তাদের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসা বোর্ড বা রাজ্য শিক্ষা বিভাগের নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হওয়ায় সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস।
রোববার হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে- সম্প্রতি জেলা প্রশাসন, পৌর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ দল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বনভুলপুরা এলাকায় ‘বিশেষ পরিদর্শন অভিযান’ পরিচালনা করে। এ সময় প্রতিষ্ঠানগুলোর যথাযথ নিবন্ধন এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক প্রয়োজনীয়তা মেনে চলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পরিদর্শনকালে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা অনিবন্ধিত পাওয়া গেছে। যার ফলে তাদের মধ্যে সাতটি সিল করা হয়েছে। হলদোয়ানির সিটি ম্যাজিস্ট্রেট এ পি বাজপেয়ী বলেছেন, আমরা হলদোয়ানির মাদ্রাসাগুলো পরিদর্শনের জন্য একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছি। বেশ কিছু মাদ্রাসা রাজ্য সরকারের নিয়ম লঙ্ঘন করে, যথাযথ নিবন্ধন ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, আমরা এখন পর্যন্ত সাতটি মাদ্রাসা সিল করে দিয়েছি। কর্মকর্তাদের মতে, জেলা প্রশাসন গত মাসে বনভুলপুরা এলাকার মাদ্রাসাগুলোর একটি প্রাথমিক জরিপ পরিচালনা করেছিল। জরিপে অবস্থান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধার মতো বিশদ বিবরণ নথিভুক্ত করা হয়।
গত ২৬ মার্চ উত্তরাখন্ড সরকার জানিয়েছে, তারা রাজ্যজুড়ে সিল করে দেওয়া ‘অবৈধ’ মাদ্রাসাগুলোর তহবিল তদন্ত করবে এবং এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা দেওয়া হবে। কর্মকর্তারা বলছেন, রাজ্যে প্রায় ৪৫০টি নিবন্ধিত মাদ্রাসা রয়েছে। যারা সরকারকে তাদের নথি, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়েছে। কিন্তু ৫০০টিরও বেশি মাদ্রাসা কোনো স্বীকৃতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তারা।
এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পৌরসভার কর্মকর্তারা বনভুলপুরা এলাকায় একটি ‘অবৈধ’ মাদ্রাসা ধ্বংস করে। তাদের দাবি, এটি দখলবিরোধী অভিযানের অংশ ছিল। যার ফলে মুসলমান এবং হালদওয়ানি পুলিশের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করে এবং সব স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দেয়।
এমবি//
আরও পড়ুন