ভালুকায় বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও শহীদদের স্বীকৃতি দাবি (ভিডিও)
প্রকাশিত : ০৯:১৬, ২৯ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১৩:৪৬, ২৯ মার্চ ২০১৮
স্বাধীনতার ৪৬ বছরেও ময়মনসিংহের ভালুকায় একাত্তরে গণহত্যায় শহীদ হওয়া ব্যক্তিদের স্বীকৃতি মেলেনি। অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকা বধ্যভুমিগুলোও বিলীন হওয়ার পথে। মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাঁথা ও ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে বধ্যভূমিগুলো সংরক্ষণ, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণসহ শহীদদের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সদস্যসহ মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়রা।
১৯৭১ সালের ১৮ জুলাই রাতে ভালুকার মল্লিকবাড়ী, ভান্ডাব গ্রামের আব্দুস ছামাদ ডাক্তারের বাড়ীতে রাজাকারও পাক বাহিনীর সদস্যরা হানা দেয়। রাতভর পরিবারের সদস্যদের উপর চালায় পৈশাচিক নির্যাতন। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয় বসতবাড়ী।
গ্রেনেডের আঘাতে ক্ষত বিক্ষত বাড়ীর গাছ পালা ও বসতঘরের পোড়া টিন আজও বয়ে বেড়াচ্ছে সেই স্মৃতি। কিন্তু শহীদ পরিবার হিসেবে আজো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি পরিবারের সদস্যরা।
মল্লিকবাড়ী ছাড়াও সাতেঙ্গা, পাড়াগাঁও, বিরুনীয়া, ভাওয়ালিয়াবাজুসহ উপজেলার আরো কয়েকটি স্থানে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা গণহত্যা চালায়। সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে যেতে বসেছে বধ্যভূমিগুলো।
ভালুকার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও ভালুকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ভাওয়ালিয়াবাজুতে একটি স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং বধ্যভুমিগুলো সংরক্ষণের দাবী স্থানীয়দের ।