ভিসি আমাকে কোন চিরকুট দেয়নি: শিবলী
প্রকাশিত : ২০:৩২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২২:১২, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
গত মার্চ মাসে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিলের ঘোষণার পরে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের একটি বিভাগের সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের ৩৪ জন সাবেক ও বর্তমান নেতাকে অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ দেওয়ার খবর গত রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকশিত হয় ।
তার পরিপ্রেক্ষিতে,গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দফতর কর্তৃক প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপতিতে বিষয়টি অসত্য বলে দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন।
এবিষয়ে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন,যথাযথ নিয়ম মেনেই শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে। ইভিনিং প্রোগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, এটা অনুষদের নিজস্ব প্রোগ্রাম। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের সার্কুলারের বাইরেও ভর্তি করানোর সুযোগ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক নয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা একবার পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হয়েছে, দ্বিতীয়বার দেয়ার যৌক্তিকতা নেই।
শিবলী রুবাইয়াতুল বলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা একবার তো ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছে। ইভিনিং প্রোগ্রামে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। তাদেরকে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে লেখাপড়ার সুযোগ প্রদানের বিষয়টি দেড় বছর আগে অনুমোদিত হয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীদের যথাযথ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি হওয়ার বিধানটি চালু আছে।
এ সময় প্রকাশিত খবরের চিরকুটের বিষয়ে তিনি বলেন, চিরকুট দেখতে কেমন। চিরকুট কি ছোট কাগজ। জিনিসটা কি?এখনতো চিরকুট দেওয়ার দরকার নেই। এখন টেলিফোন আছে মোবাইল আছে। যদি ভিসি স্যার কোনো চিরকুট আমাকে দিয়ে থাকেন, তাহলে তো প্রমাণ থেকে গেল। আমার মনে হয় চিরকুট দিয়ে ভিসি স্যার এমন বোকামি করবেন না।
শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের আর্থিক অস্বচ্ছলতা, শারীরিক সমস্যা কিংবা পরিবারের প্রয়োজনে দিনের বেলায় অনেকেই চাকুরি করে থাকেন; তাদের বিষয় বিবেচনা করে শুধু মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ ওঠা ছাত্রদের বেলায় এটাই হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন