ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ভিসির অপসারণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

ঢাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২১:২৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বহিষ্কৃত এক ছাত্রীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মো. নাসিরউদ্দিনকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের আল্টিমেটাম দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা। 

একইসঙ্গে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপাচার্যের অপসারণ ও বহিষ্কৃতদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়া না হলে মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা। 

জানা যায়, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রের সঙ্গে প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি এবং ভাইস চ্যান্সেলর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগে ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া নামে এক ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

অভিযুক্ত ছাত্রী ফাতেমা-তুজ-জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী  ও একটি ইংরেজী দৈনিকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

মানববন্ধনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দীন বলেন, জাতির পিতা যেখানে শুয়ে আছেন সেই স্থানে ভিসি নাসিরউদ্দীন স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। গত কয়েকমাস ধরে তার বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সরকার এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। শুধুমাত্র মত প্রকাশের জন্য তিনি এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করেছেন। ওই ছাত্রী শুধু লিখেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ কি? এই কথা লেখায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, এর আগে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়ে লেখায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে ভিসি নাসিরউদ্দীন। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও নারী কেলেঙ্কারিসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল করতেন, যুক্তরাষ্ট্রে ছাত্রদলের সংগঠক ছিলেন। এরপরও শুধুমাত্র আত্মীয়তার সূত্রে এই স্বাধীনতা বিরোধীকে সেখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এসময় মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রায়হানুল ইসলাম আবির ও সাধারণ সম্পাদক মাহদী আল মুহতাসিম নিবিড় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন।

আবির বলেন, অবিলম্বে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিসহ সারা দেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।

সর্বোচ্চ দলিল সংবিধানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা উল্লেখ করে নিবিড় বলেন, সকলের মত এক হবে এমনটা নয়। এটি গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। ইতিপূর্বে বিনা কারণে বিশ্বিবদ্যালয় প্রশাসন অনেক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং আশা করব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দিবে।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিয়ে ওই অভিযুক্ত ছাত্রীর দেয়া স্ট্যাটাস ও কমেন্টসে বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করার প্রবণতা লক্ষ্য করা ও ভাইস চ্যান্সেলর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক আইডি হ্যাক করার কারণে সাময়িক বহিষ্কার করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. নূরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত বহিষ্কার আদেশের নোটিশে বলা হয়।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি