ভিসির বাসভবনে হামলা একাত্তরের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে: কাদের
প্রকাশিত : ১০:৪৭, ১০ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ১৪:০৯, ১০ এপ্রিল ২০১৮
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভিসির বাসভবনে হামলা একাত্তরের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মঙ্গলবার সকালে তিনি ভিসির বাসভবনে গিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অন্ধ বিশ্বাসের কারণে ভিসির বাসায় হামলা করা হয়েছে। এ হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হামলার ঘটনাকে মধ্যযুগীয় আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একাত্তরের বর্বরতাকেও হার মানায়। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালো রাতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম হামলা হয়েছিলো। কিন্তু ভিসির বাসভবন কখনও আক্রান্ত হয়নি। এমনকি স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও এরকম ঘটনা ঘটেনি। বেডরুমসহ সবকিছু তছনছ করা হয়েছে। বাথরুমের কমোড, আসবাবপত্র ও ভিসির পরিবারের স্বর্ণালঙ্কার পর্যন্ত লুট করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এটি যে পরিকল্পিত হামলা তা প্রমাণিত। কারণ ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বিকল করে দেওয়া হয়েছে। এই নারকীয় বর্বরতার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত চলছে। কিছুটা চিহ্নিত হয়েছে। বাকিটাও চিহ্নিত হবে। এর বিচার করতেই হবে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।
ঘটনার দিন ভোর ৪টা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী জেগে ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোটার সঙ্গে ভিসির কি সম্পর্ক? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর কি এ কোটা চালু করেছেন? নাকি তিনি চলমান কোটায় সমর্থন করেছেন। আন্দোলনের সঙ্গে এটি (ভিসির বাসভবনে হামলা) কেন জড়িত করা হলো এর জবাব দিতে হবে।
আন্দোলনকারীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মূল ভূমিকা নিয়েছিলো, বেশিরভাগ অলরেডি বসেছে, সমঝোতা হয়েছে। আগামী ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তিনি আরো বলেন, যারা সত্যিকার কোটা সংস্কার আন্দোলন করতে চায় এই সমঝোতার পর তারা আন্দোলনে থাকবে না। যারা থাকবে এ আন্দোলনের সঙ্গে তাদের মধ্যে বিদ্বেষপ্রসূত রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। আর সে রাজনীতির অন্ধ আক্রোশের শিকার হয়েছে ঢাবি ভিসির বাসভবন। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। এরা কি কোটা সংস্কার চায় নাকি দেশের রাজনীতি অশান্ত করতে চায়। ক্যাম্পাসকে অশান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। এটি খতিয়ে দেখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী প্রমুখ।
টিআর/এসএইচ/
আরও পড়ুন