ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ভুল বোঝাবুঝি’র হোক অবসান : দেবাশীষ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৭, ২৯ অক্টোবর ২০২০

গতকাল বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়- প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাসকে। সেই সঙ্গে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয় শর্ত সাপেক্ষে পরে জামিন পেয়েছেন এই নির্মাতা। কিন্তু সত্য ঘটনা হচ্ছে তিনি কারাগানে নন, বাসাতেই আছেন। এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল বোঝাবুঝি। আর নিজেই সেই ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়েছেন। তিনি ফেসবুকে লাইভে এসে সব বিষয়ে কথা বলেন। জানান কী ঘটেছিল আর কী প্রকাশ পেয়েছে।

দেবাশীষ বলেন, ‘আদালতে তিনি ঠিকই গিয়েছিলেন কিন্তু গ্রেপ্তার কিংবা কারাগারে যাওয়ার মত কিছুই ঘটেনি। যার সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব তিনি তার বন্ধু। তাই আদালত একটি সমঝোতার মাধ্যমে সমাধান করে দিয়েছেন। যা উভয়ে মেনে নিয়েছেন।’

তবে এই নির্মাতা কিছুটা ক্ষোভ নিয়ে জানান, যারা মিথ্যে তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে তাদের তিনি মাথায় রেখেছেন। সেই সঙ্গে যারা এ সময়ে তার পাশে ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন। 

উল্লেখ্য, প্রকাশিত সংবাদগুলো থেকে জানা যায়- ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই লিটন সরকার ইমন নামের এক ব্যক্তি দেবাশীষ বিশ্বাসের মা গায়েত্রী বিশ্বাস প্রযোজিত ‘মায়ের মর্যাদা’, ‘শুভ বিবাহ’, ‘অপেক্ষা’ এবং ‘অজান্তে’ সিনেমা পিএনটিভি ইউটিউব চ্যানেলে বাণিজ্যিকভাবে প্রচারের জন্য কিনেছিলেন। ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায় ৬০ বছরের জন্য সিনেমা চারটি কেনার পর ওই ব্যক্তি তার চ্যানেলে আপলোড করলে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ কপিরাইট ইস্যুতে চ্যানেলটি বন্ধ করে দেয়। তখন তিনি জানতে পারেন, সিনেমাগুলো আসামিরা এর আগে ২০১৭ সালে অন্য ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করেছিলেন। 

ওই ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে কোন সমাধান না আসায় ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লিটন সরকার ইমন বাদী হয়ে দেবাশীষ বিশ্বাসের নামে প্রতারণার মামলা করেন। একই বছর ৫ ডিসেম্বর আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হলেও আসামিরা হাজির না হওয়ায় গত ২১ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ারানা জারি করেন আদালত।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবার (২৮ অক্টোবর) দেবাশীষ বিশ্বাস আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার বিরুদ্ধে হওয়া প্রতারণা মামলা থেকে জামিন আবেদন করেন। এ সময় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তবে অভিযোগে উল্লেখিত টাকা আগামী শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে তাকে জামিন দেন আদালত।

ফলে চুক্তি অনুযায়ী নেওয়া টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতিতে আইনজীবী খন্দকার মুহিবুল হাসান আপেলের মাধ্যমে জামিন আবেদন করলে সেই শর্তে তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি