ভুয়া নামে ১২ কোটি টাকা ঋণ, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশিত : ০৮:২৫, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ০৮:২৭, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান পটিয়ার সাইফুল আলম মাসুদের নামে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মজিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদসহ আরও ৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
একই দিনে আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আরও আসামি করা হয়েছে সাইফুল আলম মাসুদের ব্যক্তিগত সহকারী এস এম নজরুল ইসলাম, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, শাহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম ও মো. ওসমানকে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মজিবুর রহমান ও ওয়াসিয়া আক্তারের নামে ‘নীলিমা নীল এগ্রো’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির নামে ১২ কোটি টাকার ঋণ ইস্যু করা হয় ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চকবাজার শাখায়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের সেই টাকার জন্য তাগাদা দিলে বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন মজিবুর রহমান।
২০২৩ সালে বিষয়টি জানিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের ডাক বিভাগের মাধ্যমে দেওয়া নোটিশ গ্রহণ করেননি তিনি।
কারণ, ব্যাংকের সঙ্গে তার কোনো লেনদেন নেই। পরে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে নোটিশটি গ্রহণ করে ব্যাংককে লিখিতভাবে জানান, তিনি কোনো ঋণ নেননি।
বাদীর আইনজীবী মাহমুদুল হক বলেন, সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী মজিবুর রহমান বলেন, আমার নামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে কোনো হিসাব নেই।
ঋণ নেওয়া তো দূরের কথা। যেই নারীর নাম যুক্ত হিসাবে লেখা হয়েছে, তাকেও আমি চিনি না। ওই নারীও ব্যাংক হিসাব ও ঋণের বিষয়ে কিছু জানেন না।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক চকবাজার শাখার ব্যবস্থাপক এস এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঋণ নিয়ে অনেকেই পরিশোধের সময় বলেন তারা ঋণ নেননি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন