ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ভেঙে গেল ‘বিটিএস’!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:০০, ১৫ জুন ২০২২

কয়েক বছর ধরেই বিশ্বজুড়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ কোরীয় ব্যান্ড বিটিএস। সংগীতের সেরা পুরস্কার গ্র্যামি কিংবা বিলবোর্ড অ্যাওয়ার্ডস সব জায়গাতেই নিজেদের অবস্থান জাহির করেছে তারা। এমনকি জাতিসংঘের সদরদপ্তর থেকে হোয়াইট হাউজ; সবখানেই পৌঁছে গেছে দলটি।

এমন সব আনন্দের খবরের মাঝে বিটিএস তাদের ভক্তদের জানাল মন খারাপ করা খবর। শোনা যাচ্ছে, একসঙ্গে আর গান গাইবেন না বিটিএস-এর সাত সদস্য। এখন থেকে আলাদাভাবে গান করবেন তারা। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) ছিল ব্যান্ডটির বার্ষিক ‘ফিসতা’ ডিনার। এরপরই তারা আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেন। 

সম্মিলিতভাবে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু বিটিএস-এর এমন ঘোষণা তাদের ভক্তদের মনে বিশাল এক ধাক্কা দিয়েছে।

বিটিএস-এর অন্যতম সদস্য আরএম গণমাধ্যমে বলেন, “আমি সবসময়ই বিটিএসকে অন্য ব্যান্ডগুলোর চেয়ে আলাদা ভেবেছি। কিন্তু কে-পপ ও পুরো ‘আইডল’ পদ্ধতির সমস্যা হলো এটা আপনাকে পরিণত হওয়ার সুযোগ দেবে না। আপনাকে গান চালিয়ে যেতে হবে এবং কিছু না কিছু করতে হবে।’’

ব্যান্ডের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল এক ভিডিওবার্তায় আরেক সদস্য সুগাও বলেন, ‘‘আমরা এখন আলাদা হয়ে যাব।’’ মূলত ব্যান্ডের সদস্যের একক ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতেই এ সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়।

আরেক সদস্য জিমিন বলেছেন, ‘‘এখন আমাদের নতুন ভাবনা শুরু হলো। কী ধরনের শিল্পী হিসেবে ভক্তরা আমাদের মনে রাখবে।’’

পুনরায় এক হওয়ার আশাও ছাড়ছেন না বিটিএস মেম্বাররা। ভক্তদের আশা দেখিয়ে জে-হোপ বলেন, ‘‘আমরাদের এখন আলাদাভাবে সময় কাটাতে হবে। শিখতে হবে কীভাবে আবার একত্র হওয়া যায়। আশা করি আপনারা এটাকে নেতিবাচকভাবে দেখবেন না, স্বাস্থ্যকর এক ব্যবস্থা হিসেবেই ভাববেন।’’

ফিরে আসার প্রত্যাশায় বিটিএস সদস্য জাংকুক বলেন, ‘‘প্রতিজ্ঞা করছি, নিশ্চিতভাবেই কখনো না কখনো আমরা এখনকার চেয়ে আরও পরিণত হয়ে ফিরে আসব।’’

উল্লেখ্য, বিটিএস ব্যান্ডটি গড়ে উঠেছিল ২০১০ সালে। গত কয়েক বছরে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল ব্যান্ড বলা যায় এটিকে। এ পর্যন্ত তাদের অ্যালবামের কপি ৩২ মিলিয়নেরও বেশি বিক্রি হয়েছে। গানের পাশাপাশি তারা মানবিক ও সামাজিক নানান কার্যক্রমে সক্রিয়।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি