ভেঞ্চার ক্যাপিটাল : সম্ভবনা ও প্রতিবন্ধকতা
প্রকাশিত : ২১:৩৯, ২৬ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:৫৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
কোনো ব্যক্তি চমৎকার কোনো ভাবনা বা আইডিয়া আত্মস্থ করার পর ব্যস্ত হয়ে পরেন আইডিয়াটি বাস্তবায়নে। তার ধারনা, আইডিয়াটি অতুলনীয়, অভূতপূর্ব এবং বিশ্বসেরা। এমন চমৎকার আইডিয়া এর আগে কখনও কারো মাথায় আসেনি। কিন্তু বাস্তবায়ন যে কঠিন ভারী। অনেক কিছু দরকার। একটা অফিস, এবং/অথবা কারখানা। কাঁচামাল, কর্মচারি, প্রচার; আরও কত কি! আর এসব কিছু জোগাতে প্রয়োজন, টাকা। কোথায় মিলবে টাকা? ব্যাংকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে হবু উদ্যোক্তা এক সময় ‘মূল্যবান কিছু’ অর্জন করে। অর্থ নয়, অভিজ্ঞানঃ ব্যাংকের ঋণ তাদের জন্য নয়। স্বপ্নের জন্য তার বুকে তুমুল ভালবাসা। নিজের জমানো টাকা দিয়ে তাই, হাঁটি হাঁটি পা পা করে, শুরু করে। আইডিয়াটা, মহিরুহ থেকে কাটছাট করে, বনসাই আকারে শুরু করে। পথে নামলে পথ চেনা যায়। কিছু কিছু সহায়তা মেলে। পরিবার থেকে। বন্ধুদের থেকে। কিন্তু হায় স্বপ্ন-গাছ যত বাড়ে, ততই যে তার খিদে বাড়ে! টাকা দরকার। আরও টাকা। অভাগা যেদিকে চায়, সাগরও শুকায়ে যায়। কত সম্ভবনাময় মহীরুহ অঙ্কুরে মারা যায়! ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এই অঙ্কুরগুলোকে মহীরুহ না হোক বৃক্ষ, বা নিদেন পক্ষে ঝোপঝাড় হয়ে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ব্যবসা শুরু বা সম্প্রসারণেরর জন্য পুঁজির জোগান দেয়। তবে সব ব্যবসায় নয়। যে ব্যবসা উদ্ভাবনীয়, বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ আছে, সেটাই পছন্দ। উদ্ভাবন শুধু যে বৈজ্ঞানিক হবে তা নয়- নতুন ধরনের পণ্য বা সেবা অথবা নতুন কোনো চাহিদা মেটানোও হতে পারে। কারণ এসব ব্যবসায় লাভের সম্ভবনা বেশি। লাভের সাথে ঝুঁকিও হাত ধরাধরি করে যায়। তাই, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটা ‘অধিক লাভ অধিক ঝুকি’ মডেলের অর্থায়ন।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র কাজের পদ্ধতি
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি নির্দিষ্ট উদ্দেশে (যেমন আইটি, আইটিইএস, বায়ো মেডিক্যাল ইত্যাদি) গঠিত ‘ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড বা তহবিল’ উত্তোলন করে। বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ এই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। সাধারণ বা খুচরা বিনিয়োগকারীকে এই ধরনের তহবিলে বিনিয়োগ করতে নিরুৎসাহিত করা হয়। কারণ এতে ঝুঁকি বেশি এবং ফল আসে দেরিতে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম বা কোম্পানি এই তহবিল ব্যবস্থাপনা করে। বিনিময়ে তারা ব্যবস্থাপনা ফি পায়। ভেঞ্চার ফান্ডের মেয়াদ দীর্ঘ। ৫ থেকে ১৫ বছর। ভেঞ্চার ফান্ডে যারা বিনিয়োগ করে তাদের লিমিটেড পার্টনার বা এলপি বলে। আর যারা এই ফান্ড ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ করে তাদের জেনারেল পার্টনার বা জিপি বলে। জেনারেল পার্টনাররা টাকার সাথে সাথে নিজেরা তহবিল ব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকেন। স্টার্ট আপ বাছাই করেন, নিরীক্ষা বা ডিউ ডেলিজেন্স করেন। বিনিয়োগের পর বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠান দেখভাল করেন, তাদের পর্ষদে পরিচালক হিসাবে বসেন। ভেঞ্চার ফান্ড থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হয়। ভেঞ্চার ফার্ম বা কোম্পানি এই বিনিয়োগের ব্যপারে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। বিনিয়োগ দীর্ঘ মেয়াদের। তিন থেকে আট বছর পর্যন্ত। বিনিয়োগ প্রধানত সাধারণ শেয়ার ও আংশিক পুঁজির (কোয়াজি ইক্যুটি) মাধ্যমে করা হয়। মেয়াদ শেষে অথবা সুবিধাজনক সময়ে ভেঞ্চার ফার্ম সেই শেয়ার বিক্রি করে দেয়। কখনও লাভে আবার কখনও লোকসান দিয়ে। বিনিয়োজিত কোম্পানি দেউলিয়া হলে পুরো বিনিয়োগ জলে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এসোসিয়েশন এর হিসাব অনুযায়ী সেদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিনিয়োগ এর ৫ বছরের গড়ে দেখা যায়, ২৫ শতাংশের ক্ষেত্রে ক্রয় মুল্যের কমে অর্থাৎ লোকসান দিয়ে শেয়ার বিক্রয় করতে হয়েছে। পক্ষান্তরে ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে, প্রায় পৌনে ৬ বছরে, বিক্রয় মূল্যের ১০ গুণ বা ততোধিক মূল্য মিলেছে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সম্ভবনা
উদ্যোক্তা উন্নয়নে ভূমিকাঃ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল একটি উদ্যোগের বিভিন্ন পর্যায়ে অর্থায়ন করে; যথাঃ সিড বা বীজ, অর্থাৎ ব্যবসা যখন উদ্যোক্তার মনে আইডিয়া আকারে থাকে (২) প্রাথমিক পর্যায় – উদ্যোক্তা ব্যবসা শুরুর জন্য কাজ শুরু করেছে কিন্তু বিক্রয় শুরু হয়নি (৩) সম্প্রসারণ – বিক্রি শুরু হয়েছে কিন্তু কোম্পানি লাভ করছে না (৪) বর্ধিষ্ণু – আইডিয়া পরিক্ষিত, ভালো আয় আসছে, ব্রেক ইভেন হয়েছে বা কাছাকাছি।
আমরা জানি, নতুন কোনো উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান উপরোক্ত পর্যায়ে কোনো প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয় না। তবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঘটে, তার পূর্ববর্তী রেকর্ড বা অন্যান্য ব্যবসার উপর নির্ভর করে। ব্যাংক ঋণ পাওয়ার জন্য আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় নিয়ামক (১) ব্যবসাটি লাভজনক হতে হবে (২) ব্যবসা বা উদ্যোক্তার পূর্ব সাফল্যর উদাহরণ থাকতে হবে (৩) জামানত হিসাবে বন্ধক দেয়ার মত স্থাবর সম্পত্তি থাকতে হবে। নতুন উদ্যোক্তার এইসব কোনো যোগ্যতাই থাকে না। সেক্ষেত্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটালই তার একমাত্র ভরসা।
শুধু দুস্প্রাপ্যতা বা প্রাপ্তির জটিলতা নয়, নতুন উদ্যোক্তার জন্য ব্যাংক ঋণ, প্রকৃতিগতভাবে, অসুবিধাজনক। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পর থেকেই সুদ আরোপ শুরু হয়। অথচ ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায়ে লোকসান হওয়া স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে সুদ- বোঝার ওপর শাঁকের আটি। তদুপরি ঋণ বা ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য বড় জোর ৩ বা ৬ মাস গ্রেস পিরিয়ড পাওয়া যায়। তারপর ঋণ পরিশোধ করতে হয়- অথচ বাড়ন্ত শিশুর খাদ্য চাহিদার মত ব্যবসারও তখন প্রয়োজন অতিরিক্ত অর্থের।
ভেঞ্চার ক্যাপিটালকে বলা হয় স্মার্ট মানি। এখানে শুধু অর্থ নয়, তারও অধিক কিছু মিলে। বুদ্ধি পরামর্শ, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র (বিনিয়োজিত কোম্পানিতে) বিনিয়োগ, ঋণের মত, নিরাপদ নয়। ঋণের ক্ষেত্রে জামানত থাকে। জামিনদার থাকে। আইনের সুরক্ষা থাকে। ঋণীকে একগাদা আইনি কাগজপত্রে সাক্ষর দিতে হয়। পক্ষান্তরে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, বিনিয়োজিত কোম্পানির লাভ লোকসানের ভাগিদার। উক্ত কোম্পানির লোকসান মানে তার লোকসান। তাই ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র পার্টনাররা বিনিয়োজিত কোম্পানিতে অনেক বেশি জড়িত হয়। আগ্রহ নেয়। সে জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ভেঞ্চার ক্যাপিটালের বিনিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র সাফল্যঃ যুক্তরাষ্ট্র ভেঞ্চার ক্যাপিটেল’র সুতিকাগার। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৫৮ সালে ‘ক্ষুদ্র ব্যবসা বিনিয়োগ আইন’ প্রনয়ন করে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ব্যবসা শুরু করেছে। ভারতে ১৯৯৬ সালে, পাকিস্তানে ২০০১ সালে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল আইন প্রনিত হয়েছে। সিলিকন ভ্যালির ডটকম বিপ্লবের পেছনে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র অবদান অনস্বীকার্য। আমেরিকা উদ্যোক্তার জাতি। ভেঞ্চার ক্যাপিটালের তাই সেখানে রমরমা অবস্থা। অথবা ভেঞ্চার কেপিটাল এর কারণেই আমেরিকা এত উদ্যোক্তা’র মুখ দেখতে পেয়েছে। মাইক্রোসফট, স্টারবাক্স, অ্যাপল, ইন্টেল, ফেসবুক, গুগল, ই-বে, আমাজন এরকম অনেক জগত বিখ্যাত কোম্পানি’র বেড়ে ওঠার পেছনে ভেঞ্চার ক্যাপিটালের সহায়ক হাত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র বাড়ন্ত চেহারা নিচের সারনিতে দেখা যাবেঃ
সাল |
ভিসি ফার্মের সংখ্যা |
ভিসি ফান্ড সংখ্যা |
ফান্ড $B |
ডিল সংখ্যা |
বিনিয়োগ $B |
২০১৩ |
৮৭৪ |
১৩৩১ |
১৯২.৯ |
৪০৪১ |
২৯.৫ |
২০০৬ |
১০২২ |
১৭১৬ |
২৮৮.৯ |
৩৮৮২ |
২৭.৫ |
২০০৩ |
৯৫১ |
১৭৮৮ |
২৬৩.৯ |
৩০২৪ |
১৯.৬ |
১৯৯৩ |
৩৭০ |
৬১৩ |
২৯.৩ |
১২১১ |
৩.৬ |
১৯৮৫ |
২৯৪ |
৫৩২ |
১৭.৬ |
১৩৪৮ |
২.৮ |
২০১৩ সালে আইটি সেক্টরে ২৩৬০টি কোম্পানিতে ২৭৮৪ ডিলে ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে নতুন কোম্পানি ১০০৯টি, যাতে ৩.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। মোট বিনিয়োগের ৩৭% সফটওয়্যার, ১৫% বায়োটেকনোলজি, ১০% মিডিয়া এন্টারটেইনমেন্টে বিনিয়োগ করা হয়েছে। এগুলো নতুন ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ। ভারতে ২০১১ সালে ৫৩১টি ডিলে ১৪.৮ বিলিয়ন ডলার ও ২০১২ সালে ৫৫১ টি ডিলে ১০.২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। তম্মধ্যে আইটি ও আইটি উদ্ভুত সেবা খাতে ২০১১ সালে ২৭% ও ২০১২ সালে ৪০% বিনিয়োগ করা হয়েছে। ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বিধায় প্রচুর চাকুরি তৈরি হয়, যা নিচে দেখান হয়েছেঃ
|
আইপিও’র সময় কর্মী সংখ্যা |
বর্তমানে (২০১২) কর্মী সংখ্যা |
স্টার বাক্স |
৬৫০ |
৩৩১,০০০ |
মাইক্রোসফট |
১১৫৩ |
৯৪০০০ |
ইন্টেল |
৪৬০ |
১০০,১০০ |
আপ্যাল |
১০১৫ |
৭৬,০০০ |
গুগল |
৩০২১ |
৫৩,৮৬১ |
পুঁজিবাজারে প্রভাবঃ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োজিত কোম্পানি থেকে আইপিও’র(উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে) মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে (লক-ইন পিরিয়ড শেষে) বের হতে পারে। তার মাধ্যমে ভালো মুনাফা অর্জনের সুযোগ মেলে। তাই, বিনিয়োগ নয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এর আসল সাফ্যলের মাপকাঠি এক্সিট। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক বছরের চিত্র নিচের সারণিতে দেখা যাবেঃ
|
মোট আইপিও |
ভেঞ্চার অর্থায়নকৃত কোম্পানির আইপিও |
২০১৩ |
১৬৯ |
৮১ |
২০১২ |
১১৩ |
৪৯ |
২০১১ |
৯৮ |
৫১ |
২০১০ |
১০৩ |
৭০ |
২০০৯ |
৩৯ |
১৩ |
আইপিওতে আসার জন্য নতুন কোম্পানি সৃজনে ভেঞ্চার ক্যাপিটাল’র ভূমিকা উপরের সারণিতে প্রতিভাত। অবশ্য ভেঞ্চার অর্থায়িত কোম্পানির একটি ক্ষুদ্র অংশ আইপিওতে আসে। বড় অংশ মার্জার একুজিসন (২০১৩: ৮০২), ট্রেড বিক্রয় এর মাধ্যমে এক্সিট করে থাকে।
বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতঃ বাংলাদেশ সিক্যুরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ২০১৫ সালে বিকল্প বিনিয়োগ নীতি প্রনয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে ৮/৯টি কোম্পানি আল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার হিসাবে বিএসইসির সাথে নিবন্ধিত হয়েছে। আরো ৭/৮টি বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল (ভিসি) ফান্ড, দেশে কাজ করছে। বিদেশি ভিসি ফান্ড বাংলাদেশে এলে শুধু অর্থ নয় সাথে জ্ঞানও আসে। বাংলাদেশে ভেঞ্চার ক্যাপিটালে দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনশক্তি নেই। বিদেশি ভিসি ফার্ম সেই অভাব দূর করতে পারে। এ বছর অর্থ বিলে অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের আয়ের উপর কর অবকাশ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার ও জাতীয় রাজস্ব বিভাগকে এজন্য ধন্যবাদ। বিকল্প বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলো চরিত্রগতভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠা কিন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর অধীনে নিবন্ধিত নয় বলে তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানএর বিভিন্ন কাঠামো গত সুযোগ সুবিধা (যেমন বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের সিআইবি তথ্যে প্রবেশ অধিকার) পাচ্ছে না, যা তাদের বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে সহায়ক হত। ভেঞ্চার তহবিল ট্রাষ্ট হিসাবে নিবন্ধনের নিয়ম। সেক্ষেত্রে ২% নিবন্ধন ফি দিতে হবে। মিচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য যা থোক টাকা ধরা আছে। ২০০ কোটি টাকার তহবিলের উপর ২% মানে ৪ কোটি টাকা যা অনেক বড় খরচ। এই ফি থোক টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় আইন/নীতিমালা প্রনয়ন করে, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ব্যবসার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দিলে, বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও কর্মসংস্থানের অপার সম্ভবনা তৈরি হবে।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (প্রস্তাবিত)।
ডব্লিউএন
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।