ঢাকা, শনিবার   ৩০ নভেম্বর ২০২৪

ভোটারদের মাঝে কালো টাকা বিলি বন্ধ করতে হবে: লিটন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৫০, ১৮ জুলাই ২০১৮

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি মোটা অংকের কালো টাকা লেনদেন হয়েছে। সেই কালো টাকা যেন ভোটের মাঠে বা ভোটাদের মাঝে বিলি না করতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।   

এদিকে রাজশাহীর পরিবেশকে ‘যুদ্ধ ক্ষেত্র’ বলে আখ্যায়িত করে সেনাবাহিনী মোতায়নের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

বুধবার দুপুরে রাজশাহী কর্মচারি কল্যাণ বোর্ড মিলনায়তনে প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় এসব দাবি করেন এই প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী।

তবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা যা করার দরকার তার কোনও ত্রুটি থাকবে না বলে জানালেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

লিটন বলেন, ‘তারা (বিএনপি) হারলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয় আর জিতলে নির্বাচন স্বচ্ছ হয় এটাই তাদের চরিত্র। কালো টাকার মালিকরা কাদের সঙ্গে আছে, কাদের কালো টাকা নিয়ে রাজশাহীতে জালাও পোড়াও করেছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা এবং হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়ে দেশের রাজনীতিকে অন্যদিকে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, সরকারের পতন ঘটিয়ে অন্যভাবে দেশে অরাজকর পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছিল, মানুষ তা জানে।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, ‘আজকে রাজশাহীতে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা নির্বাচনের পরিস্থিতি নেই। এটি যুদ্ধের পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে যদি নির্বাচন করতে হয় তা হলে আগামী দিনে আরও শোচনীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। তাই সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রয়োজন হয়ে পরেছে। কারণ যারা আমাদের পাহারা দেবে তারা যদি একজন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে তা হলে আমরা কোথায় নিশ্চয়তা পাব।’

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপুর্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চায়। ইতোপূর্বে নির্বাচন কাজে যারা ভাল দায়িত্ব পালন করেছে তাদের বাছাই করে সে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তাদের নির্বাচন কাজে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইন-শৃংখলা রক্ষার দায়িত্ব পালনে থাকবে ১৪০০ পুলিশ, ১৯৩২ জন আনসার, ৪৫০ জন র‌্যাব, ৪৫০ জন বিজিবি ও ৪০ জন ম্যাজিস্টেট। আর সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন তার সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘ অতীতের নির্বাচন সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংস্কৃতি আমরা যা দেখে এসেছি তাতে আপনারা মিথ্যা বা ভুল বলে প্রমান করেছেন। যেটি আমাদের কারও কাম্য নয়। আমরা চাই একটি শন্তিপূর্ণ নির্বাচন। যাতে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রতিটি ভোটার তার পছন্দের প্রার্থীকে  ভোট দিতে পারে আমরা সেটাই চায়।’

কেআই/এসি 

  


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি