ভোলায় জ্বীন তাড়াতে গৃহবধুর গায়ে আগুন
প্রকাশিত : ১১:২২, ২২ এপ্রিল ২০১৯
ভোলায় এক ওঝার অপচিকিৎসায় প্রাণ যেতে বসেছে জোসনা বেগম নামের ৪৫ বছর বয়সী এক গৃহবধুর। জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুকের সময় আগুন লেগে শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে। অগ্নিদগ্ধ ওই গৃহবধুকে ভোলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।
ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রাম। এই গ্রামে প্রবাসী জসীম এর স্ত্রী জোসনা বেগমকে গত বৃগস্পতিবার রাতে জ্বীন তাড়ানোর নামে গায়ে কেরসিন মেখে ঝাড়-ফুকের সময় আগুন ধরিয়ে দেয় ওঝা রুনা। বর্তমানে গৃহবধূ মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
অগ্নিদগ্ধ জোসনার বাড়ি সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের বাঘার হাওলা গ্রামে। ৪ সন্তানের জননী জোসনার স্বামী মো. জসিম সৌদি প্রবাসী।
আহতের মা মাহফুজা জানান, কিছুদিন ধরে তার মেয়ে জোসনা বেগম (৪০) অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। এটাকে জ্বীনের আছর মনে করে তারা পাশ্ববর্তী গ্রামের ওঝা বেলায়েত হোসেন ও তার নাতনি শিশু ওঝা নামে খ্যাত রুনা বেগমকে দেখায়।
বৃহস্পতিবার রাতে শিশু ওঝা রুনা বেগম জোসনা বেগমের গায়ে কেরসিন মেখে আগরবাতি ও ধূপ জ্বালিয়ে ঝাড় ফুকের এক পর্যায়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ডাক চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে রাতেই জোসনা বেগমকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালে আনার আগেই তার শরীরের প্রায় ৫০ ভাগ ঝলসে যায়। সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রুনার দাদা দাদী ওঝা বেলায়েত হোসেন ও তার স্ত্রী অহিদা বেগমকে আটক করেছে। তবে এই ঘটনায় শিশু ওঝা রুনা জড়িত নয় বলে দাবি করছে তার নানা-নানী।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জড়িত অন্যদের আটকে অভিযানে চলছে।
আরও পড়ুন