ভ্যাকসিন আবিষ্কার, অসত্য-অতিরঞ্জিত তথ্য ও মানুষের প্রত্যাশা
প্রকাশিত : ২০:০১, ১৩ জুলাই ২০২০
ড. জাহিদ দেওয়ান শামীম
২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে চীনের উহান নগরীতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হলেও পরে স্পেন, বৃটেন, ইতালী, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, ভারত এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৫টি দেশে সংক্রমণের ফলে আতঙ্ক তৈরির পাশাপাশি মহামারী আকার ধারন করেছে। এ পর্যন্ত নতুন এ রোগটির জন্য কোনও ঔষধ বা ভ্যাকসিন উদ্ভাবিত না হওয়ায় হাসপাতালে নিবিড় চিকিৎসা ছাড়া রোগ থেকে সেরে ওঠার উপায় নেই।
করোনার রোগী চিকিৎসায় ইতিমধ্যে ক্লোরোকুইন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, ফেভিপিরাভির, এজিথ্রোমাইসিন, আইভারমেট্রিন, স্টেরয়েড ও রেমডিসিনাভিরসহ অনেক ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু কোন ওষুধই নির্দিষ্ট ও নিশ্চিতভাবে করোনা চিকিৎসায় তেমন আশার আলো জাগায়নি। তাই আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানী ও গবেষকেরা এই মরণঘাতী ভাইরাসের প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় দ্রুত নতুন থেরাপি আবিষ্কারের জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। তারা মনে করছেন, ভ্যাকসিন ছাড়া করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে করা সম্ভব না। তাই ভাইরাসটি প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের উপর ভরসা রাখছেন। এজন্য নতুন ভ্যাকসিন আবিষ্কারের গবেষণা খুব দ্রুত গতিতেই চলছে।
পৃথিবীতে এই প্রথম ভ্যাকসিন শব্দটা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক পরিচিত পাওয়ার পাশাপাশি মানুষ অধীর অগ্রহ নিয়ে বসে আছে কার্যকর ভ্যাকসিনের আশায়। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে গবেষকেরাও প্রতিযোগিতায় নেমেছেন- কোন দেশ, কোন কোম্পানি বা কোন গবেষক গ্রুপ ভ্যাকসিন আবিষ্কারে জয়ী হয়। ১৪০টির বেশি ভ্যাকসিনের ওপর নজর রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এরমধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলক ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে, যা সবার মধ্যে আশার আলো জাগাচ্ছে। রেফারেন্সসহ ভ্যাকসিন নিয়ে কিছু তথ্য পাঠকদের জন্য তুলে ধরতে চাই।
ভ্যাকসিন হলো এক ধরনের রাসায়নিক প্রস্তুতি যা অ্যান্টিবডি তৈরীর প্রক্রিয়াকে উত্তেজিত করে দেহে কোন একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করে। কোনো প্রাণীর দেহে রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার জীবিত (যার রোগ সূচনাকারী ক্ষমতা শূন্য) বা মৃতদেহ বা কোনো অংশবিশেষ হতে প্রস্তুত ঔষধ যা ঐ প্রাণীর দেহে ঐ ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে।
ভ্যাকসিন লাখ লাখ মানুষের শরীরে দেওয়া হয় বলে এটি তৈরির ক্ষেত্রে অন্য ওষুধ আবিষ্কারের চেয়ে বেশি সতর্কতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে হয়। বেশ কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে তবেই ভ্যাকসিন ব্যবহারের উপযোগী হয় বলে ভ্যাকসিন তৈরিতে ২ থেকে ১০ বছর সময় লাগতে পারে। তবে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে গবেষকেরা ১২ থেকে ১৮ মাসের মধ্যেই তা সম্পন্ন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নতুন ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে মূলত ৬টি ধাপ অনুসরণ করতে হয় যেমন- ১. অনুসন্ধানী, ২. প্রি-ক্লিনিক্যাল, ৩. ক্লিনিক্যাল, ৪. নিয়ন্ত্রক পর্যালোচনা এবং অনুমোদন, ৫. উৎপাদন ও ৬. মান নিয়ন্ত্রণ। প্রতিটি ধাপই খুব গুরত্বপূর্ণ ভ্যাকসিন তৈরির জন্য। তাই একটা বাদ দিয়ে আরেক ধাপে যাওয়া যায় না।
অনুসন্ধানী ধাপকে ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণার নিবিড় ও প্রাথমিক ধাপ বলা হয়। এই ধাপে প্রাকৃতিক বা সিন্থেটিক অ্যান্টিজেন শনাক্ত বা তৈরির কাজ করা হয় যা রোগ প্রতিরোধ বা চিকিৎসায় সহায়তা করতে পারে। তারপর প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপ, এই ধাপের তিনটি অংশ। প্রথমে গবেষকেরা অনুসন্ধানী ধাপে তৈরি অ্যান্টিজেন ছোট পশুর (ইদুর বা খরগোশ) দেহে প্রয়োগ করে সাধারণত ৬-৮ সপ্তাহ পরে পশুর রক্ত থেকে সেরাম আলাদা কার হয়। এই সেরামে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পূর্ণ অ্যান্টিবডি থাকে।
দ্বিতীয়ত- এই অ্যান্টিবডির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ইন-ভিট্র ইনফেকশন সিস্টেমে পরীক্ষা করা হয়। কার্যকারী হলে তৃতীয়ত- বড় পশুর (বানর) দেহে প্রয়োগ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো দেখা হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা হয় ভ্যাকসিনেশনের
মাধ্যমে দেহে প্রতিরোধী ক্ষমতা তৈরির পর ইনফেকশন চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে। আর ভ্যাকসিনের চিকিৎসা ক্ষমতা দেখা হয় ইনফেকশন চ্যালেঞ্জের পর ভ্যাকসিনেশনে মাধ্যমে। ভ্যাকসিন বড় পশুর দেহে কার্যকারী হলে সাধারণত ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়ে থাতে। এই ধাপ দুটির পর গবেষকেরা বলতে পারেন যে, তারা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের প্রাথমিক কার্য সফলতার সাথে সম্পূর্ণ করেছেন। তার আগে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করেছেন- এটা গবেষকেরা বলতে পারে কিনা আমার জানা নেই।
এরপর ক্লিনিক্যাল ধাপ, এই ধাপের চারটি অংশ। প্রথম ধাপে পরীক্ষায় ১০ থেকে ২০ জন মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এর নিরাপত্তা ও প্রতিরোধী ক্ষমতা দেখা হয়। দ্বিতীয় ধাপে কয়েক শত মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে এর নিরাপত্তা ও ডোজ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তৃতীয় ধাপে এসে কয়েক হাজার মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন দিয়ে এর কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ সময় নিয়ন্ত্রিত গ্রুপকে ভিন্ন ওষুধ বা প্লাসেবো দিয়েও পরীক্ষা করে দেখা হয়। তৃতীয় ধাপে যদি ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর হয় তাহলে অনুমোদন চাওয়া হয় মানুষের দেহে প্রয়োগের, এটা রেগুলেটরী এবং অনুমোদন ধাপ। তারপর সাধারণ উৎপাদন ধাপ, এরপর মান নিয়ন্ত্রণ ধাপ।
আমেরিকাতে এফডিএ সাধারণত রেগুলেটরী এবং অনুমোদন, উৎপাদন এবং মান নিয়ন্ত্রণ ধাপ অনুমোদন দেয় ও তদারকি করে থাকে। আর চতুর্থ ধাপে ভ্যাকসিন ব্যবহারকারীর দেহে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও ভ্যাকসিনের ব্যবহার মনিটর করা হয়।
নিউইয়র্ক টাইমস কর্তৃক প্রকাশিত একটি ভ্যাকসিন ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ১৫৫টির বেশি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে, তার মধ্যে ২২টি ভ্যাকসিন মানুষের দেহে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ১৫৫টির মধ্যে বেশিরভাগ ১৩৫টি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপে, ১৪টি ক্লিনিক্যাল প্রথম ধাপে, ১১টি ক্লিনিক্যাল দ্বিতীয় ধাপে, ৪টি ক্লিনিক্যাল তৃতীয় ধাপে ও ১টি ভ্যাকসিন মানুষের দেহে সীমিত ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে বলে দেখানো হচ্ছে।
গার্ডিয়ান একটি ভ্যাকসিন ট্র্যাকার প্রকাশ করেছে, তাতে দেখানো হয়েছে- গবেষকেরা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ১৪০টি বেশি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। ১৪০টির মধ্যে বেশির ভাগ ১২৯টি ভ্যাকসিন প্রি-ক্লিনিক্যাল ধাপে, ১৫টি ক্লিনিক্যাল প্রথম ধাপে, ৯টি ক্লিনিক্যাল দ্বিতীয় ধাপে, ২টি ক্লিনিক্যাল তৃতীয় ধাপে ধাপে রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। এ ট্র্যাকারে কোনো ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে বলে দেখানো হয়নি।
অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনটি চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিকসের। সামরিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন পেয়েছে। গার্ডিয়ানের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকা মিলে যে ভ্যাকসিন তৈরি করছে, তা মানুষের শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধী ব্যবস্থা তৈরি করে। এটি যুক্তরাজ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা হচ্ছে। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলে। চীনের ক্যানসিনো বায়োলজকিস ও চীনের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি তৈরি একটি ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ধাপে ইতিবাচক ফল দেখায়। তবে পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি। বিশ্বের প্রথম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন হিসেবে সামরিক বাহিনীতে ব্যবহারের জন্য এটি অনুমোদন পেয়েছে। তবে এটি বিস্তৃত পর্যায়ে কীভাবে বণ্টন করা হবে, তা পরিষ্কার করা হয়নি।
মার্কিন জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মডার্না এমআরএনএভিত্তিক একটি ভ্যাকসিন তৈরি করছে, যা শরীরে কৌশলে ভাইরাল প্রোটিন তৈরি করে। এর আগে কখনো সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে এমআরএ ভ্যাকসিন অনুমোদন পায়নি বা মডার্নাও আগে কোনো ভ্যাকসিন আনেনি। তবে এটি প্রচলিত ভ্যাকসিনের চেয়ে দ্রুত ও কম খরচে উৎপাদন করা যায়।
এদিকে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরি নিয়ে আলোচনায় থাকা মডার্না তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা জুলাই মাসে শুরু হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ উৎপাদন করতে চাইছে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন গবেষণায় ও আবিষ্কারে সবথেকে স্ট্রাইকিং নিউজ, ভারতের হায়দরাবাদভিত্তিক ভারত বায়োটেক ‘কোভ্যাক্সিন’ নামের একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনে সফল হওয়ার দাবি করেছে। বিশ্বজুড়ে যে ভ্যাকসিন তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে, এতে এটা ভারতের প্রথম ভ্যাকসিনপ্রার্থী। এ ভ্যাকসিন তৈরিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি (এনআইভি) একত্রে কাজ করবে। তারা শিগগিরই প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করবে।
সম্প্রতি, নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান এই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করল। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সব ধাপ পার হতে পারলে আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব হবে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ করোনা ভ্যাকসিন পনেরো অগাস্ট এর মধ্যে বাজারে আনার যে দাবি জানিয়েছে এবং বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড আগামী ছয় থেকে সাত মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব হবে যে দাবি করেছে তা অসত্য, অতিরঞ্জিত বলে মনে করেন বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ। শুধু তাই নয় প্রিম্যাচুয়র ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বিপদ ডেকে আনতে পারে।
তারপরও বলবো, করোনা ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে অগ্রগামী হিসেবে বিবেচিত যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি তৈরি ভ্যাকসিনটির দিকেই সবাই তাকিয়ে আছে। যুক্তরাজ্যের ভ্যাকসিন টাস্কফোর্সের প্রধান কেট বিংহ্যাম জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরুতেই এই ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশা করছেন তাঁরা। করোনা মহামারি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিনই সবচেয়ে বড় অস্ত্র হবে বলে মনে করেন তিনি।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটির নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক সারাহ গিলবার্ট বলছেন, আমি আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উন্নত ভ্যাকসিন তৈরি করা যাবে এবং এটি মানুষকে রক্ষা করবে। ড. অ্যান্থনি ফাউসি আমেরিকার শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক বলেছেন, তিনি আশা করেন, ২০২১ সালের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিনটির কয়েক মিলিয়ন ডোজ প্রস্তুত থাকবে।
লেখক- সিনিয়র সাইন্টিষ্ট, নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র।
এনএস/
** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।