ভ্যাট ফাঁকি বন্ধের যন্ত্র বসছে ১ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে
প্রকাশিত : ১৮:২৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৯:২১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮
ভ্যাট ফাঁকি বন্ধে প্রায় এক লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) বসানো হবে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরে ১০ হাজার মেশিন বসানোর পরিকল্পনা নিয়েছে এনবিআর। এক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব প্রতিষ্ঠানকে এর আওতায় আনা হবে। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস হচ্ছে ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্টার বা ইসিআরের উন্নত সংস্করণ। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি ইএফডি এক ধরনের হিসাবযন্ত্র। এ যন্ত্রের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন যে পরিমাণ বিক্রি করবে, তার তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে তদারকি করতে পারবেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। এ জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে এনবিআরে শক্তিশালী একটি সার্ভার স্থাপন করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠানে ইএফডি চালু করা হবে, তাদের সঙ্গে এই সার্ভারকে সম্পৃক্ত করা হবে। ফলে তাদের দৈনন্দিন লেনদেনের তথ্য সহজেই জানা যাবে। এতে করে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট আদায় অনেক বাড়বে। এর আগে ২০০৮ সালে ইসিআর মেশিন চালু করা হলেও পদ্ধতিগত জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি এনবিআর। তখন এটি ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল না।
১৩টি খাতে ইএফডি মেশিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত অক্টোবরে আদেশ জারি করে এনবিআর। খাতগুলো হচ্ছে- আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও ফাস্টফুডের দোকান, মিস্টান্ন ভাণ্ডার, আসবাবপত্রের বিক্রয়কেন্দ্র, পোশাক বিক্রয়কেন্দ্র বা বুটিক শপ, বিউটি পার্লার, ইলেকট্রনিক বা ইলেকট্রিক্যাল গৃহস্থালি সামগ্রীর বিক্রয়কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, অভিজাত শপিং সেন্টারের অন্তর্ভুক্ত সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, জেনারেল স্টোর বা সুপারশপ, অন্যান্য বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ী (পাইকারি ও খুচরা) প্রতিষ্ঠান এবং স্বর্ণকার, রৌপ্যকার ও স্বর্ণ ও রৌপ্যের দোকানদার।
আরকে//
আরও পড়ুন