মঞ্চে ‘নাজুক মানুষের সংলাপ’ : ৯ দিনে ১২ প্রদর্শনী
প্রকাশিত : ১২:০৩, ২৩ মে ২০২৩ | আপডেট: ১২:১৭, ২৩ মে ২০২৩
নতুন নাটক নিয়ে মঞ্চে ফিরেছে থিয়েটারওয়ালা রেপাটরি। এবার এনেছে ‘নাজুক মানুষের সংলাপ’। এর আগে ‘শাইলক এ্যান্ড সিকোফ্যান্টস’ দিয়ে প্রশংসিত নাট্যদলটি। এরপর মঞ্চে আসে ‘জবর আজব ভালোবাসা’। নতুন নাটক ‘নাজুক মানুষের সংলাপ’ রচনা করেছেন শাহাদুজ্জামান আর নির্দেশনা দিয়েছেন সাইফ সুমন।
গেলো শুক্রবার রাজধানীর নাটক সরণির মহিলা সমিতির ডা. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে এ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। ১৯ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত একই মিলনায়তনে ৯ দিনে টানা ১২টি প্রদর্শনী হচ্ছে নাটকটির।
প্রশ্ন ও চিন্তা বিনিময়ের নাটক ‘নাজুক মানুষের সংলাপ’, জানিয়েছেন নির্দেশক। এখানে এক প্রাজ্ঞ প্রবীণের মুখোমুখি হয় এক জিজ্ঞাসু, পথভ্রান্ত তরুণ।
গল্প আর কথোপকথনের ভেতর দিয়ে জীবনের নানা দার্শনিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজে প্রবীণের কাছে। সরাসরি উত্তর দেওয়ার বদলে প্রবীণ প্রশ্নগুলো উল্টেপাল্টে দেখতে উদ্বুদ্ধ করে তাকে। চলে তাদের কথোপকথন। আর এর ভেতর দিয়েই কিছু সত্য আর কিছু আপাত সত্যের মুখোমুখি হয় তরুণ।
নিাটকটির বিষয়ে নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, “প্রশ্নের উত্তর খোঁজা মানুষের সহজাত ও জ্ঞানতাত্ত্বিক স্বভাব। আবহমানকাল থেকেই প্রশ্ন মানুষকে তাড়িত করেছে বলেই সে এগিয়ে গেছে সামনের দিকে। মানুষ জানতে চেয়েছে, বুঝতে চেয়েছে। জীবনের সামগ্রিক সত্যকে উপলব্ধি করে, জীবনকে দেখার অভিজ্ঞতা থেকে প্রাজ্ঞজনেরা দিয়ে গেছেন নানা প্রশ্নের উত্তর।
নাটকটিতে অভিনয় করছেন ইউসুফ হাসান অর্ক ও রুদ্র সাওজাল। আলোক পরিকল্পনায় অমান বিশ্বাস, পোশাক পরিকল্পনায় আইরিন পারভীন লোপা, সংগীত পরিকল্পক ইউসুফ হাসান অর্ক।
গানের কথা ও সুর ইউসুফ হাসান অর্ক, সুমন মজুমদার, মাহফুজ সুমন। মঞ্চ পরিকল্পক, পোস্টার, প্রকাশনা, প্রচার ও মঞ্চ ব্যবস্থাপক সাকিল সিদ্ধার্থ। আবহ নিয়ন্ত্রক ও সহকারী মঞ্চ ব্যবস্থাপক আবির সায়েম। প্রযোজনা অধিকর্তা হাসান শাহরিয়ার। নাটকে যা বলা হয়েছে- এক জিজ্ঞাসু, পথভ্রান্ত তরুণ মুখোমুখি হয় এক প্রাজ্ঞ প্রবীণের।
গল্প আর কথোপকথনের ভেতর দিয়ে জীবনের নানা দার্শনিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজে প্রবীণের কাছে। প্রবীণ তাকে উত্তর খোঁজার বদলে প্রশ্নগুলোকেই উল্টেপাল্টে দেখতে উদ্বুদ্ধ করে। চলে তাদের কথোপকথন। এর ভেতর দিয়েই তরুণ মুখোমুখি হয় কিছু সত্য, আর কিছু আপাত সত্যের।
নাট্যকার শাহাদুজ্জামান বলেন, “একটি গল্পে কিছু ভাবনাকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করতে গিয়ে এই কথোপথন ধারাটিকে অনুসরণ করে একটি গল্প লিখেছিলাম ‘মারাত্মক নিরুপম আনন্দ’ নামে, যা আমার প্রথম গল্প গ্রন্থ ‘কয়েকটি বিহ্বল গল্প’ বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই ধারাবাহিকতাতেই আমার সর্বশেষ গল্পগ্রন্থ ‘মামলার সাক্ষী ময়না পাখি’তেও এই কথোপকথনের আঙ্গিক ব্যবহার করে আরেকটি গল্প যুক্ত করি ‘নাজুক মানুষের সংলাপ’ নামে।”
‘গল্প দুটি লেখার প্রেক্ষাপট ভাবতে গিয়ে মনে পড়ে জীবনের নানা পর্বে বিবিধ প্রশ্ন দিয়ে যখন তাড়িত হয়েছি, তখন মনে হয়েছে প্রশ্নগুলো নিয়ে কারো সঙ্গে নিবিড় আলাপে মগ্ন হতে পারলে বেশ হতো। কিন্তু যখন আশপাশে তেমন আলাপে যুক্ত হওয়ার মতো মানুষ খুঁজে পাইনি, তখন নিজেই দুটি চরিত্র তৈরি করে নিয়ে তাদের ভেতর সেই কাল্পনিক আলাপটা জারি রেখেছি। সেই কাল্পনিক দুই চরিত্রের আলাপের ভেতর দিয়ে জীবনের এসব অমীমাংসিত নানা প্রসঙ্গের ভেতর বিচরণের একটা উপায় খুঁজে নিয়েছি।’
এসবি/