মনের ছবির গুরুত্ব
প্রকাশিত : ১৫:২২, ২০ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৫:৩৩, ২০ জুলাই ২০২১
আপনি প্রশ্ন করতে পারেন- আত্মউন্নয়ন, মন-নিয়ন্ত্রণ, মনোশক্তির সৃজনশীল প্রয়োগের জন্যে ভিজুয়ালাইজ করার ওপর এত গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন? উত্তর হচ্ছে, মনের শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্যে শিথিলায়নের পরেই ভিজুয়ালাইজ করার গুরুত্ব। কারণ যে লক্ষ্যকে আপনি সুস্পষ্টভাবে ভিজুয়ালাইজ করতে পারবেন, আপনি তা অর্জনে সক্ষম হবেন। এমনকি ইচ্ছাশক্তি ও মনের ছবির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে মনের ছবিই জয় লাভ করে। কারণ মনকে আমরা যে ছবিই দেখাই তা আমাদের বুদ্ধি, অনুভূতি ও শরীর তথা আমাদের সমগ্র সত্তাকে প্রভাবিত করে।
ভিজুয়ালাইজ বা কল্পনার গুরুত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে মনের ছবির সাথে আমাদের অনুভূতি গভীরভাবে সম্পৃক্ত। আমাদের আবেগ মনের ছবির (যেমন মায়ের ছবি, শিশুর ছবি, বিপরীত লিঙ্গের কারো ছবি, বন্ধুর ছবি) সাথে এমনভাবে সাড়া দেয় যেন ছবির মানুষটি সামনে রয়েছে।
তাই ঘর বা অফিস, বন্ধু বা পরিবারের সদস্য, আনন্দ, দুঃখ, স্মৃতি এবং প্রত্যাশার ছবি আমরা সারাদিনই মনের চোখে দেখতে পাই। আর এ ছবির সাথে আমাদের জীবনদৃষ্টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই মনের ছবি দিয়েই আমরা আমাদের জীবনদৃষ্টিকে পাল্টাতে পারি, জীবনকে সাফল্যের পথে নিয়ে যেতে পারি। আর অনেকেই তা করেছেন।
যেমন, অলিম্পিক ক্রীড়াবিদ ব্রুস জেনার তার ড্রইংরুমে চার বছর ধরে একটা হার্ডল রেখেছিলেন। তিনি যখনই এসে সোফায় বসতেন তখনই এই হার্ডলের দিকে তাকাতেন এবং কল্পনায় লাফ দিয়ে হার্ডল ডিঙ্গাতেন।
গলফার জ্যাক নিকলাউস গলফ বলে শট মারার আগে মনের ভিডিওতে বল কোথায় নিতে চান এবং কীভাবে নিতে চান পুরোটাই দেখে নিতেন। কল্পনার এই ছবি তাদের ব্যক্তিগত দক্ষতার উৎকর্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আপনার ভিজুয়ালাইজ করার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে নিয়মিত মনের ছবি তৈরির চর্চা করুন। চোখ দিয়ে যা দেখতে পান তা-ই ভিজুয়ালাইজ করার চেষ্টা করুন। যেমন পরিচিত মুখ, পোশাক, বাড়ি, গাড়ি, পার্ক, ফুল, নিম গাছ, কলম, পেনসিল, দেয়ালের ছবি, দেয়ালের লিখন, মনোগ্রাম, বইয়ের প্রচ্ছদ, যা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা-ই ভিজুয়ালাইজ করুন। আশেপাশের সবকিছুর প্রতি আরো মনোযোগ দিন।
দৈনন্দিন ব্যবহৃত বা দেখা জিনিস ভিজুয়ালাইজ করলে চারপাশে কী ঘটছে তা আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারবেন। আপনার বাস্তবতাবোধ হবে আরো গভীর।
লেখাটি কোয়ান্টাম মেথডের প্রবক্তা মহাজাতক এর মেডিটেশন বই থেকে সংগ্রহ।
এসএ/
আরও পড়ুন