ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মনোদৈহিক সমস্যা ও সামাজিক অস্তিরতার বড় কারণ ফেসবুক

প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০০:০৫, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

আমাদের জীবন হয়ে পড়েছে প্রযুক্তিনির্ভর। সবাই মিলে ঢুকে পড়েছি উৎকট হাস্যকর বাস্তবসারযুগে। ক্ষীয়মাণ হয়ে গেছে পারস্পরিক স্নেহ ভালবাসা মমতার সম্পর্ক। ইদানীং সামাজিক অস্থিরতা, অসহিষ্ণুতার বড় কারণ ফেসবুক। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতা ও টানাপোড়েনের জন্যেও এটি দায়ী।

বুঝে না বুঝে আমরা প্রযুক্তির অপরিণামদর্শী ব্যবহার করছি দিনের পরদিন। সমাজে কমছে সমমর্মিতা। বাড়ছে প্রতারণা অবিশ্বাস প্রতিহিংসা। আমাদের স্বাধীনতা বেড়েছে, সচেতনতা বাড়ে নি। আমরা নতুন প্রযুত্তি ব্যবহার করব, কিন্তু যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই।

ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে আগামী প্রজন্ম

# ভার্চুয়াল ভাইরাসের সবচেয়ে বড় শিকার শিশুরা। বর্তমানে বিশ্বে প্রতি তিন জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর একজনই শিশু ( ইউনিসেফ রিপোর্ট ২০১৭)

# শিশুদের অটিজম, মনোযোগ হ্রাসের জন্যে দায়ী ভিডিও গেম আসক্তি। মার্কিন তরুণদের মাঝে স্কুল থেকে ঝরে পড়া, পরিবার ও সমাজ বিচ্ছিন্নতা, তীব্র বিষন্নতার মতো আত্নঘাতী সমস্যার নেপথ্য কারণও হলো ইন্টারনেট আসক্তি। (ওয়াশিংটন পোস্ট ২০ মে ৭ ডিসেম্বার ২০১৭)

#পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড এর গবেষনা অনুযায়ী, যেসব শিশু কম্পিউটার টেলিভিশন ও ভিডিও গেম নিয়ে দিনের বিশিরভাগর সময় ব্যস্ত থাকে তারা হয়ে পড়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও হীনমন্যতার শিকার। ভাষ্যমতে, শিশুদের অনিদ্রা, মেদস্থুলতা, আগ্রাসী মনোভার, আত্নবিশ্বসহীনতার অন্যতম কারণ স্ক্রিন আসক্তি। (দ্য গার্ডিয়ান, ২৬জানুয়অরি ২০১৮)

সচেতন হোন এখনই

# বয়স ১৮ হওয়ার আগে সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দেবেন না।
# রাত ১১ টার পর ভার্চুয়াল জগত থেকে দূরে থাকুক।

লেখক : আনোয়ারা সৈয়দ হক

প্রথিতযশা মনোচিকিৎসক

 

 

 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি