মন্ত্রীর আশ্বাসে শিক্ষকদের আন্দোলন স্থগিত

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলতে থাকা এক দফা দাবির আন্দোলন মন্ত্রীর আশ্বাসে স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।     

সোমবার বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমানের মিন্টো রোডের বাসভবনে প্রাথমিকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পরপরই আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা। 

প্রাথমিকের শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সদ্স্য তপন কুমার মণ্ডল এ প্রসঙ্গে বলেন, মন্ত্রী আমাদের বলেছেন তিনি আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো বিবেচনা করবেন। তিনি আমাদের এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন।

শিক্ষক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, না খেয়ে দাবি আদায় করা সম্ভব না। দাবি-দাওয়া পূরণ করতে হলে আলাপ-আলোচনা করতে হয়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করা যায়।

সন্ধ্যায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক অধিদফতরের হাপরিচালকের উপস্থিতিতে আন্দোলনরত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শরবত খেয়ে অনশন ভাঙবেন।

এর আগে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে মন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসভবনে যান শিক্ষক প্রতিনিধির ১২ জন সদস্য।

গত ২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যাগে এ অনশন কর্মসূচি চলছে। মহাজোটের অধীনে সহকারী শিক্ষকদের ১০টি সংগঠনের হাজার হাজার শিক্ষকরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে যোগ দিয়েছেন অনশন কর্মসূচিতে।

তাদের দাবি, আগের বেতন স্কেলগুলোতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা বেতন পেতেন। কিন্তু ২০১৫ সালের বেতন কাঠামোতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকদের সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের ব্যবধান তিন ধাপ। এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০তম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এ বৈষম্য নিরসনে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০) বেতন চান।

এস/ এআর