মসজিদ-মাদ্রাসার টাকা আত্মসাত, তদন্ত কমিটি গঠন
প্রকাশিত : ০৮:৩৪, ২০ জুলাই ২০২৩
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিএসএস দাখিল মাদ্রাসা ও দুটি মসজিদের উন্নয়নে জেলা পরিষদের ৩ প্রকল্পের কোন কাজ না করে ভূয়া কমিটি দিয়ে সমুদয় টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার বিএসএস দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো. অহিদুল ইসলাম ও ইবতেদায়ি শাখার প্রধান শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের বেতন স্থগিত করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, বারইখালী ইউনিয়নে মধ্য জোমাদ্দারপাড়া বাইতুন নূর জামে মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দান উন্নয়ন, বারইখালী-সুতালড়ী জামে মসজিদ উন্নয়ন ও বিএসএস দাখিল মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ থেকে ২ লাখ টাকা করে মোট ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করান মাদ্রাসা সুপার মো. অহিদুল ইসলাম।
মনগড়া ভুয়া কমিটি দাখিল করে বরাদ্দের টাকা তুলে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন প্রকার উন্নয়নমূলক কাজ না করে শতভাগ টাকা আত্মসাৎ করেন সুপার অহিদুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা। ঘটনা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বর মো. নিজাম উদ্দিনসহ স্থানীয়রা জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে জানতে বিএসএস দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. অহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তিনি মাদ্রাসার কাজে বাইরে আছেন বলে সহকারি সুপার মো. মাইনুদ্দিন হিরু জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিএসএস দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি এসএম তারেক সুলতান বলেন, ৩টি প্রকল্পের নামে টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই মাদরাসা সুপার অহিদুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। একই সাথে পুরা বিষয়টি উদঘাটনের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটিকে আগামি ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন