ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

মস্তিষ্কের ক্ষতির খবর দেবে রক্ত পরীক্ষা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

আঘাতের কারণে মস্তিষ্কের কোন ক্ষতি হলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে রক্ত পরীক্ষা থেকে। চিকিৎসকদের সাহায্যের জন্য প্রথম যে রক্ত পরীক্ষাটি করা হয় সেটি সফলভাবে শেষ হয়। আর এ গবেষণাটিকে অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।

মস্তিষ্কের কোন রোগ বা অন্যান্য ক্ষতি নিরুপণে রক্ত পরীক্ষার সম্ভাব্যতা নিয়ে পরীক্ষামূলক গবেষণা করছিল যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বানিয়ান বায়োমেকারস নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি সে পরীক্ষারই অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র সরকার। আর এ অনুমোদনের ফলে প্রতিষ্ঠানটি এখন বাণিজ্যিকভাবে গবেষণা পরিচালনা করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, এ গবেষণার মাধ্যমে মস্তিষ্কের উত্তেজনা বুঝতে পারার একটি উপায় বের হয়ে আসবে। গতকাল বুধবার গবেষণাটির অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন।

বানিয়ানের গবেষণা মতে, মস্তিষ্ক আঘাতপ্রাপ্ত হলে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তা সনাক্ত করা যাবে। মস্তিষ্কের কোষে দুইটি প্রোটিন উপাদান থাকে। মস্তিষ্ক আঘাত পেলে প্রোটিন দুইটি কোষ থেকে বের হয়ে রক্তপ্রবাহের সাথে মিশে যাবে। আর এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হবে মস্তিষ্ক। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ১২ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসকেরা মস্তিষ্কের আঘাতের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন। আঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেলে যদি কোন অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় তাহলে একটি সিটি স্ক্যান করতে হবে।

উইসকনসিন মেডিক্যাল কলেজের বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাকক্রেয়া বলেন, “এ অনুমোদন একটি চমকপ্রদ ঘটনা। এর ফলে গবেষণার নতুন দরজা উন্মোচিত হবে। গতি পাবে প্রযুক্তি”। অন্যদিকে দেশটির খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসনের কমিশনার ড. স্কট গটিলেব বলেন, “আমরা দেখলাম যে, নতুন প্রযুক্তি এবং রোগীদের চিকিৎসায় গবেষণাটি ব্যাপকভাবে কাজে লাগবে। মস্তিষ্কে আক্রান্তের বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকলে এই পরীক্ষাটি আরও আধুনিক উপায়ে সমাধান দিতে পারবে”।

মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের আঘাতে প্রতি বছর বিশ্বে ১০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। এদের মধ্যে দুই মিলিয়নই যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালগুলোতে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। আঘাতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সিটি স্ক্যান করতে হয়। যে কারণে রোগীদের রেডিয়েশনের মধ্যে আসতে হয়।

তবে মস্তিষ্কের উত্তেজনা এখনই নিরূপণ করতে পারছে না এই গবেষণাটি। এমনকি সরকারি অনুমোদন পেলেও মস্তিষ্কের রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতিতেও এখনই কোন পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। বর্তমানে পরীক্ষাটি গবেষণাগারে করা হলেও এ বছরের শেষ নাগাদ যুদ্ধক্ষেত্র এবং ফুটবল মাঠে করা হবে গবেষণাটি। গবেষণাটির অর্থায়ন করে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ।

সুত্রঃ ইউএনবি

//এস এইচ এস// এআর

  

  


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি