ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

মহাকাশে আটকে পড়া নিয়ে সুনীতা উইলিয়ামস যা জানালেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৫, ১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নাসার দুই নভোচারী সুনীতা উইলিয়ামস ও বুচ উইলমোর প্রথমবারের মতো সাংবাদিকদের সামনে হাজির হয়ে মহাকাশে ৯ মাস আটকে থাকার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে ত্রুটির কারণে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) আটকে পড়ার পর গত ১৮ মার্চ স্পেসএক্সের ক্যাপসুলে করে তারা পৃথিবীতে ফিরে আসেন।

জনসন স্পেস সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুনীতা উইলিয়ামস জানান, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা নিরাপদে ফিরে এসেছি এবং এই অভিজ্ঞতা সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। এটি একটি অনন্য ঘটনা ছিল যা থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।’ 

তিনি আরও যোগ করেন যে, স্টারলাইনারের পরীক্ষামূলক মিশনে কিছু সমস্যা হবে বলে তারা ধারণা করলেও সাধারণ মানুষের এতটা আগ্রহ ও মনোযোগ তারা আশা করেননি।

বুচ উইলমোর স্টারলাইনার মহাকাশযান সম্পর্কে বলেন, ‘এই যানটি অনেক সক্ষম হলেও আমরা কিছু সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি যা সমাধান করা হবে। আমরা নিশ্চিত করব যে ভবিষ্যতে এটি আরও মসৃণভাবে কাজ করবে।’ 

মহাকাশে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশিক্ষিত নভোচারী, তাই এটিকে 'আটকে পড়া' বলা যায় না। আমরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম।’

ক্রু-১০ মিশনের আরেক সদস্য নিক হেগ রাজনীতির প্রসঙ্গে বলেন, ‘মহাকাশে কাজ করার সময় আমরা রাজনীতির কোনো প্রভাব অনুভব করি না। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল বৈজ্ঞানিক গবেষণা চালিয়ে যাওয়া।’

প্রাথমিকভাবে মাত্র ৮ দিনের জন্য পরিকল্পিত এই মিশনটি শেষ পর্যন্ত ২৮৬ দিন স্থায়ী হয়। উভয় নভোচারীই জানান যে তারা ভবিষ্যতে আবারও স্টারলাইনার ব্যবহার করতে ইচ্ছুক এবং বোয়িং ও নাসা এই মিশনকে সফল করতে পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নাসা ও স্পেসএক্সের এই যৌথ মিশনটি 'ক্রু-১০' নামে পরিচিত ছিল।

এই সাক্ষাৎকারে নভোচারীদের বক্তব্য থেকে মহাকাশ অভিযানের চ্যালেঞ্জ, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা এবং মানবসৃষ্ট সমস্যা মোকাবিলার নানা দিক উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের মহাকাশ মিশনগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পাঠ হিসেবে কাজ করবে।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি