মহামায়ার সৌন্দর্য ফেরাচ্ছেন স্বেচ্ছাশ্রমিকরা
প্রকাশিত : ১৬:২৮, ২ অক্টোবর ২০২৪
প্রাকৃতিম নৈস্বর্গে ঘেরা ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মহামায়া লেকের নীল জলরাশি ঢেকে গেছে কচুরিপানা আর ময়লা আবর্জনায়। প্রায় দুই মাস সময় ধরে এখানে পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় লেকের বেশিরভাগ অংশ কচুরিপানায় ছেয়ে যায়। এখানে নিয়োজিত সরকারের বনবিভাগ কিংবা ঠিকাদার এটির পরিস্কারে দায়িত্ব না নিলেও স্বেচ্ছাশ্রমে পরিস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে বিডি ক্লিন মিরসরাই নামের একটি সংগঠন।
বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে সংগঠনটির ২০ থেকে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক লেকে নেমে কচুরিপানা এবং ময়লা আবর্জনা পরিস্কার শুরু করে। এসময় লেক এলাকায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) হারুন উর রশিদ ও মিরসরাই রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহেন শাহ্ নওশাদ।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিডি ক্লিন মিরসরাই এর সমন্বয়ক মো. নুরের নবী জানান, গেছে বন্যা এবং বেশ কিছুদিন ধরে লেক এলাকায় পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় লেকের অধিকাংশ এলাকা কচুরিপানা এবং ময়লায় ভরে গেছে। বিশেষ করে এসময় লেকে ডিঙ্গি নৌকাসহ অন্যান্য জলযান না চলায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় তিনি বলেন, ‘সরকারের বনবিভাগের আওতায় থাকা এ লেকটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর লেক এবং এটির সৌন্দর্য সারা দেশের পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। আমরা নিজেরা উদ্যেগি হয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে এটি পরিস্কারের দায়িত্ব নিয়েছি। এখানে আমাদের ২০ থেকে ২৫ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।’
প্রসঙ্গত, ২০০৯-১০ অর্থ বছরে চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের মিরসরাই রেঞ্জ এলাকায় পাহাড়ী বারো মাসি ঝরনায় কৃত্রিম বাঁধ দিয়ে বাস্তবায়ন করা হয় মহামায়া সেচ প্রকল্প। এতে তৈরি হয় ১১ বর্গকিলোমিটার আয়তনের লেক। যা আয়তনের দিক দিয়ে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর। এরপর এটিকে সরকারের বনবিভাগ বোটানিক্যাল গার্টেন ও ইকোপার্কে রূপান্তর করে। পরে এটি বাণিজ্যিকরণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ইজারা দেয়া হয়।
এসবি/
আরও পড়ুন