ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

মাগফিরাতের শেষ সময়ে মুক্তির আশায় আকুলতা বাড়াই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩২, ১০ মে ২০২০

রমজান স্রষ্টাকে পাওয়ার মাস এবং সব পাপ ক্ষমার মাস। রমজান সৌভাগ্য বয়ে আনে। রমজানের প্রথম দশক বা বরকতের দশক পাড় হয়ে এসেছি। দ্বিতীয় দশক তথা মাগফিরাত বা ক্ষমার দশকও শেষ প্রান্তে। গুনাহ মাফের সুবর্ণ সুযোগ। আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। তাই ক্ষমার জন্য আকুল হই।

আল্লাহতায়ালা মাগফিরাতের দশকে তার ক্ষমার পানি দ্বারা বান্দাকে সিক্ত করেন। নেক বান্দারা রাব্বুল আলামিনের ক্ষমা থেকে কখনও নিরাশ হন না এবং ক্ষমার পানি দিয়ে তৃষ্ণা মেটাবার লক্ষ্যে ইবাদত ও প্রার্থনায় আকুল থাকেন। আমরা কি তা পেরেছি?

আমাদের সবার উচিত, মাগফিরাতের এ দশক থেকে পুরোপুরি ফায়দা হাসিল করা। মাগফিরাত শেষ হতে অল্প সময় বাকি আছে, বিশ রোজার সূর্যাস্তের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত। এই সময়ে আমাদের গোনাহগুলো মাফের জন্য আল্লাহর কাছে ধর্ণা দেই।

বেশি বেশি ইবাদত বন্দেগী করি, চোখের পানি ফেলে প্রার্থনায় অংশ নেই। যা রাব্বুল আলামীনকে বিগলিত করে। বেশি বেশি বলতে থাকি- তুমি তো অতি ক্ষমাশীল, ক্ষমা তো তোমার পছন্দ অতএব আমাকে ক্ষমা কর। তুমি তো পরম দয়ালু, আমি ভুল করেছি, আমি তোমার দয়া প্রার্থনা করছি।

আল্লাহকে খুশী করার জন্য ইবাদতের পাশাপাশি ভালো ভালো কাজ করবো, দান করবো, আত্মীয়-স্বজনের হক আদায় করব এবং গরীব-দুঃখীর কষ্টের ভাগিদার হবো। আল্লাহ খুশী হলে ক্ষমা পাওয়া সহজ হবে।

রমজানে দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের সুবর্ণ সুযোগ। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘একজন মিসকিনকে দান করলে তা শুধু একটি দান হিসেবে গণ্য হবে, কিন্তু একজন গরীব আত্মীয়কে দান করলে তাতে দ্বিগুণ সওয়াব হয়। প্রথমে সওয়াব হবে দান করার জন্য, দ্বিতীয় বার হবে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য।’ (তিরমিযি)

আল্লাহ রব্বুল আলামীন তাঁর বান্দার নিকট হতে প্রার্থনা বা মোনাজাত শোনা এবং কবুল করা পছন্দ করেন। আল-কোরআনের ৬ষ্ঠ সূরা আল আন আমের ৬৩-৬৪ আয়াতে উল্লিখিত হয়েছে- ‘বলুন, কে তোমাদের ত্রাণ করেন যখন তোমরা স্থলভাগের ও সমুদ্রের বিপদে কাতরভাবে এবং গোপনে তাঁর নিকট অনুনয় কর এভাবে- আমাদের এই বিপদ হতে ত্রাণ করলে আমরা অবশ্যই কৃতজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হবো। বলুন আল্লাহই তোমাদেরকে বিপদ হতে ও সমস্ত দুঃখ-কষ্ট হতে পরিত্রাণ করেন। এতদসত্ত্বেও তোমরা তাঁর শরিক কর।’ 

মাগফিরাত কামনা প্রসঙ্গে কোরআনের উপদেশ স্মর্তব্য- ‘তোমরা ধাবমান হও স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও জমিনের ন্যায়, যা প্রস্তুত করা হয়েছে মুত্তাকিদের জন্য, যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় ব্যয় করে এবং যারা ক্রোধ সংবরণকারী এবং মানুষের প্রতি ক্ষমাশীল; আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদেরকে ভালোবাসেন এবং যারা কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আল্লাহ ব্যতীত কে পাপ ক্ষমা করবে? এবং তারা যা করে ফেলে, জেনে শুনে তারই পুনরাবৃত্তি করে না।’ (সূরা আল ইমরান: আয়াত ১৩৩-৩৫)

‘তোমরা বিনীতভাবে এবং গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, তাঁকে ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকবে।’ (সূরা আ’রাফ: আয়াত ৫৫-৫৬)’ 

‘তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমাদের কেউ অব্যাহতি পেতে না এবং আল্লাহ তওবা গ্রহণকারী ও প্রজ্ঞাময়।’ (সূরা নূর: আয়াত ১০)

‘বল, ‘হে আমার বান্দাগণ! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ, আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে নিরাস হইও না, আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা যুমার: আয়াত ৫৩)

এসএ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি