মাছের ডিমের ফেসিয়াল, খরচ কত জানেন?
প্রকাশিত : ১১:৫৩, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১১:৫৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
রূপচর্চার জগতে ফেসিয়াল অতি পরিচিত। আর ফসিয়ালের মধ্যে উচ্চমানের ফেসিয়ালের নাম ক্যাভিয়ান। আমেরিকার জনপ্রিয় এই ফেসিয়াল সেলেবদের পছন্দের তালিকায় অন্যতম। তবে খরচের দিক দিয়ে এই ফেসিয়াল সাধারণদের হাতের নাগাল থেকে বহুদূর বললেই চলে। কারণ এই ফেসিয়াল একবার করানোর খরচই ১ হাজার ডলারের বেশি।
এত টাকার ফেসিয়ালের কথা শুনে চোখ অনেকেরই মাথাই উঠতে পারে! কিন্তু এত আত যে সে ফেসিয়াল না, মাছের ডিমের ফেসিয়াল। তাও আবার ক্যাভিয়ার ডিএনএ ব্যবহার করানো হয় এই ফেসিয়ালে। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের মধ্যে অন্যতম ক্যাভিয়ার।
কান ফ্লিম উৎসবের রেড কার্পেট বা অস্কারের সন্ধ্যা কিংবা অন্য কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের আগে হলিউডের তারকাদের চায়ই চাই ক্যাভিয়ার ফেসিয়াল। হলিউডের অনেক তারকায় মাসে দুই থেকে তিন বার এই ফেসিয়াল করিয়ে থাকেন চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখার জন্য। ক্যাভিয়ারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট।
ক্যাভিয়ারের প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে ত্বক আরও তুলতুলে করে তোলে। দাগ-ছোপ মিলিয়ে দেয় নিয়মিত ব্যবহারে।
এই ক্যাভিয়ান ফেসিয়াল দুই থেকে তিন সপ্তাহ অন্তর করানোই রীতি। তবে দূষণ, মানসিক চাপ কিংবা হবু মায়েদের যদি ত্বক খুব বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে এবং বাড়তি যত্নের প্রয়োজন হয়, তা হলে প্রত্যেক সপ্তাহে করানোর উপদেশ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ফেসিয়াল করতে নানা ভাবে ত্বক পরিষ্কার করার পর চার-পাঁচ রকম মাস্ক ব্যবহার করা হয়। কোলাজের মাস্কও থাকে তার মধ্যে। এক ধরনের ইনজাইম পিলও ব্যবহার হয় এতে। এক ঘণ্টা ধরে হায়ড্রা ফেসিয়াল করানো হয়। তারপর থাকে এলইডি লাইট দিয়ে ট্রিটমেন্ট। বিলাসবহুল ফরাসি ব্র্যান্ডের নানা রকম ক্রিম-ময়শ্চারাইজার এবং অন্যান্য পণ্য ব্যবহার করা হয়। সঙ্গে থাকে চার রকম মাসাজ। তার মধ্যে অন্যতম জাপানের ৫৪০ বছর পুরনো কোবিডো পদ্ধতি। যা নিয়মিত করলে নাকি মুখের পেশি গঠন মনের মত করে ফেলা যায়।
ক্যাভিয়ান ফেসিয়াল করতে লাগে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা। আর নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, লাস ভেগাস, লাগুনা বিচ সহ অনেক শহরেই বিশেষ স্পা রিজর্টে এই ধরনের ফেসিয়াল করানো হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার
আরএমএ/এসএ/