মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে ৯ পদে ৭৮ হাজার আবেদন
প্রকাশিত : ১১:৪৪, ১ জুলাই ২০১৮
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তৃতীয় শ্রেণীর ৯টি পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৭৮ হাজার। শুধু তা-ই নয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কয়েকটি পদে আবেদনের সংখ্যা লক্ষাধিক। এমনকি সুইপার ও নিরাপত্তাপ্রহরী পদে নিয়োগ পেতেও রীতিমতো শুরু হয়েছে তদবির-যুদ্ধ।
সূত্র জানায়, অধিদফতরের উপপরিদর্শক (এএসআই) পদটি তৃতীয় শ্রেণীর। চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৯টি এএসআই পদের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৭৮ হাজার। এছাড়া ১০১টি সিপাই পদের জন্য ৪৪ হাজার এবং ৩০টি কম্পিউটার অপারেটর পদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি। সব মিলিয়ে ২৪২টি পদের বিপরীতে জমা পড়া আবেদনের সংখ্যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে গেছে। ২৭ ডিসেম্বর এ সংক্রান্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর। ২২ জুনের মধ্যে এ সংক্রান্ত সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার কথা।
সূত্র জানায়, চাকরি প্রার্থীরা শুধু আবেদন করেই বসে নেই। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রভাবশালীদের সুপারিশ আসছে। এজন্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) ফোন করা ছাড়াও লিখিত সুপারিশ করছেন ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা। সুইপার ও নিরাপত্তাপ্রহরীর মতো নিন্ম পদে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগ দিতে সুপারিশের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতারা তো বটেই এমপি, মন্ত্রী, সচিবরাও পিছিয়ে নেই। পছন্দের প্রার্থীর নাম-ঠিকানা পাঠিয়ে দফায় দফায় ফোন করছেন তারা।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, যত বড় তদবির বা সুপারিশ থাকুক না কেন, প্রত্যেক প্রার্থীকে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেই আসতে হবে। আর সেটা হবে যথাযথ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি হবে শতভাগ স্বচ্ছ।
সূত্র জানায়, ২৪২টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়ে উপপরিদর্শক (এএসআই) পদের বিপরীতে। এ পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয় ন্যূনতম স্নাতক পাস। দেখা যাচ্ছে, জমা পড়া আবেদনের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগই মাস্টার্স পাস প্রার্থী। তাদের বেশিরভাগই আবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি, গণিত ও ব্যবসায় প্রশাসন থেকে শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন। খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তারাই বলছেন, প্রার্থীদের মধ্যে একটা ধারণা আছে, ভূমি, খাদ্য এবং পুলিশের মতো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরেও ঘুষের কারবার আছে। ফলে উপপরিদর্শক পদে মাঠপর্যায়ে কাজের মাধ্যমে অবৈধ আয়ের সুযোগ পাওয়া যাবে। এ কারণেই চাকরি প্রার্থীরা রীতিমতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন।
আরকে//
আরও পড়ুন