মাদারীপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক দুই সহদর র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ৯ জুন ২০২৩
মাদারীপুর র্যাব-৮, সিপিসি-৩ ক্যাম্প ও র্যাব-১১, সিপিএসসি কর্তৃক চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত মাদারীপুরের শিবচর থানা এলাকার সোহেল মল্লিক হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ বছর যাবত পলাতক প্রধান দুই আসামীকে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প ও র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানীর একটি যৌথ আভিযানিক দল ৮ জুন ভোরে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাহেব পাড়া এলাকায় অভিযান
পরিচালনা করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী শাহীন হাওলাদার (৩৮) ও মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম (৪২) নামে দুই সহদরকে গ্রেফতার করে।
বৃহঃস্পতিবার বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প কমান্ডার, লেঃ কমান্ডার মোঃ মুহতাসিম রসুল।
প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তিনি জানান, মোঃ মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম (৪২) এবং শাহীন হাওলাদার (৩৮) এর সাথে নিহত সোহেল মল্লিক এর ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে দীর্ঘধীন যাবৎ কলহ বিবাদ ছিল। এরই জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিগত ০৮/০৮/২০১৩ ইং তারিখ রাত আনুমানিক একটার সময় মাদারীপুর জেলার শিবচর থানাধীন নিহতের বাড়ীতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহেলের বুকে ও পেটে আঘাত করে তাকে হত্যা করে ঘরের ভিতরে খাটের নিচে লেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় রেখে আত্মগোপনে চলে যায়।
উক্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের পিতা ছিদ্দিক মল্লিক (৬৫), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আদালত আসামীদের অনুপস্থিতেই তাদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে।
দীর্ঘ ৯ বছর আসামী শাহীন হাওলাদার ও মিজানুর রহমান ওরফে কুটুম নির্মাণ শ্রমিকের ছদ্মবেশে আত্মগোপনে ছিল। উক্ত ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে বিষয়টি র্যাবের নজরে আসে। পরে র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প বিষয়টি আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ফলশ্রুতিতে উক্ত ঘটনার আসামীদ্বয়কে নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাহেব পাড়া এবং নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য, র্যাব-৮, সিপিসি-৩ মাদারিপুর ক্যাম্প কর্তৃক উক্ত মামলার অপর এক আসামী মো. আলামীন (২৭) কে গত ১৪ মে ২০২৩ তারিখে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশের সার্বিক আইনশৃংখলা রক্ষায় র্যাবের এ ধরণের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর ক্যাম্প কমান্ডার, লে. কমান্ডার মোঃ মুহতাসিম রসুল।
এমএম//
আরও পড়ুন