মানবসম্পদ উন্নয়নে ১২০ কৃষি বিজ্ঞানীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিএআরসি
প্রকাশিত : ১৮:৩৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৭, ২৩ অক্টোবর ২০১৮
দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন এবং ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে বিজ্ঞানীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি)। বিজ্ঞানীদের স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও উচ্চ শিক্ষার জন্য এরই মধ্যে মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা ২০২৫ প্রণয়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।যার বাস্তবায়নে দেশি-বিদেশি ১২০জন বিজ্ঞানীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে যাচ্ছে বিএআরসি।
বিএআরসি সূত্র জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী রাজস্ব ও বৈদেশিক অর্থায়নে পরিচালিত এনএটিপি প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিজ্ঞানীদের পিএইচডি অর্জনের সুযোগসহ বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এরইমধ্যে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের নাম তালিকাভূক্তি শুরু হয়েছে। তালিকায় দেশী ৬০জন কৃষি বিজ্ঞানী ও বিদেশী ৬০জন কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নিতে পারবেন। যেখানে বিজ্ঞানীরা নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে বিদেশেও যেতে পারবেন।
বিএআরসি’র ফসল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হারু নুর রশিদ বলেন, কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। উৎপাদনশীলতা ও আয় বৃদ্ধি ও গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠির সমৃ্দ্ধির জন্য কৃষি উন্নয়নের বিকল্প নেই। তাই কৃষিকে আরো এগিয়ে নিতে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনে বৈজ্ঞানিকদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বাড়াতে বিএআরসি বিশেষ মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিকল্পনা ২০২৫ হাতে নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে আগামীতে কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রশিক্ষণ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায় ও অঞ্চলভিত্তিক চাহিদা নিরুপণ করে দেশের চাহিদা ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে গবেষণা অগ্রাধিকার ও ভিশন ডকুমেন্ট ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে।কৃষির ১২টি সাব সেক্টরের জন্য প্রনীত এ ভিশন ডকুমেন্ট দেশের ভবিষ্যৎ কৃষি গবেষণার দিক নির্দেশক হিসেবে কাজ করবে।
বিএআরসি’র কৃষি তথ্য সেন্টারের পরিচালক রফিক মোস্তফা কামাল জানান, দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে বিএআরসি কৃষি গবেষণার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, সেচ ও পনি ব্যবস্থাপনা, ফসল সংগ্রহোত্তর প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, নার্সভুক্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞানীদের দিক নির্দেশনা, পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।এ ছাড়া কৃষি যান্ত্রিকীকরণ রোডম্যাপ ২০২১, ২০৩১ ও ২০৪১ প্রণয়ন করেছে।
তিনি বলেন, রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামীতে কৃষি ক্ষেত্রে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।গবেষণার মাধ্যমে উন্নত মানের উচ্চ ফলনশীল বীজ উদ্ভাবন হলে দেশ এগিয়ে যাবে।এরই মধ্যে বারি গম ৩৩ উদ্ভাবন হয়েছে। আরো নতুন একটি উন্নত জাতের গমের বীজ উদ্ভাবনে কাজ করছে বৈজ্ঞানিকরা।যা পর্যবেক্ষণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যে এ জাত আমরা কৃষকের হাতে পৌঁচাতে পারবো।
/ আরকে /
আরও পড়ুন