মানসিক ও শারীরিক সুস্থ্যতায় যোগ ব্যায়াম
প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:৫০, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮
ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভাবিত যোগ ব্যায়াম আজ সারা পৃথিবীতে সমাদৃত, অথচ আমরা অনেকে এ বিষয়ে অজ্ঞ। তবে যোগ ব্যায়ামের ওপরে সুলিখিত অনেক বই আজকাল পাওয়া যায়। এসব পড়ে এবং সম্ভব হলে কোনো বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সঠিক ধারনা পেতে পারেন। এ ব্যায়ামের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বিভিন্ন দেহভঙ্গিমা যাকে আসন বলা হয়। এক-এক আসনে দেহে এক-একভাবে চাপ পড়ে যা দেহের এক-এক অংশের উপকার সাধন করে। এসব আসনে কিছুক্ষণ থাকার পর একটি বিশেষ আসনে বিশ্রাম নিতে হয় যাকে বলে শবাসন।
মনকে চিন্তামুক্ত রেখে বালিশ ছাড়া চিৎ হয়ে হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে শবাসন করতে হয়। সকালে ঘুম ভাঙলে লাফিয়ে না উঠে কিছুক্ষণ শবাসন করুন। এতে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস বাড়ে। প্রতিদিন আধঘণ্টা শবাসন করলে মেরুদণ্ড ভাল থাকে, অনেক পরিশ্রম ও মানসিক চাপ সহ্য করা যায় এবং দেহের যে কোনো ব্যথা ও লুকানো সমস্যা দূর হয়। উল্লেখ্য, মেরুদণ্ড ও পাঁজরের হাড়ের মজ্জা থেকে বেশির ভাগ রক্ত উৎপন্ন হয়।
সকালে নাস্তার আগে আরও ৪টি যোগাসন করুন: সিংহাসন, পদ্মাসন, পবনমুক্তাসন ও ভুজঙ্গাসন। রাতে খাবার হজম হওয়ার সময়ে পেটে জমে ওঠা বায়ু যাবতীয় রোগের এক-তৃতীয়াংশের জন্য দায়ী। এই আসনগুলো পেট বায়ুমুক্ত করে ও হজমশক্তি বাড়ায়। তা ছাড়া সিংহাসন চোখ, নাক, কান, গলা ও ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধের জন্য এবং পদ্মাসন মস্তিষ্কের জন্য ভাল। অন্য আসন দু’টি হাঁপানি, পিঠ ও কোমর ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, বহুমূত্র বা ডায়াবিটিস ও স্ত্রীরোগে উপকারী। তবে খাওয়ার পরে বজ্রাসন ছাড়া আর কোনো যোগসন করা যায় না। এ আসনটি সুনিদ্রারও সহায়ক এবং কোমর থেকে পা পর্যন্ত দেহাংশ মজবুত রাখে।
লেখক: স্বেচ্ছাসেবী সমাজ কল্যাণ সংস্থা ‘হীল’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং বাংলাদেশ বিমান এর চীপ পার্সার।
একে/টিকে