মানিকগঞ্জে পাইলট জাওয়াদের লাশ, কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্বজনরা
প্রকাশিত : ১৫:০২, ১০ মে ২০২৪
চট্টগ্রামে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত পাইলট আসিম জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছেছে। নিহত বহনকারী হেলিকপ্টার দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা নিলুফা খানমসহ স্বজনরা।
শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ১২টার দিকে তাকে বহনকারী বিমানবাহিনীর-২১৯ হেলিকপ্টারটি মানিকগঞ্জের শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামে নামে।
এ বৈমানিকের মরদেহ পৌঁছানোর খবরে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয়রা ছুটে আছেন। ছাত্রজীবনের তুখোড় মেধাবী এ বীর সৈনিককে এক নজর দেখার অপেক্ষায় স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, আসিম জাওয়াদ তাদের গর্ব, তাদের অহংকার। তিনি ছাত্রজীবনে নানান স্তরে মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। কর্মজীবনেও ছিলেন অকুতোভয় সৈনিক। তার এ চলে যাওয়া আমাদের জন্য, দেশের জন্য বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
বৈমানিক আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহের সঙ্গে তার বাবা ডা. আমানউল্লা, স্ত্রী অন্তরা আক্তার ও দুই সন্তান হেলিকপ্টারে আসেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শহীদ মিরাজ-তপন স্টেডিয়ামেই তার শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর জেলা শহরের সেওতা কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এই বৈমানিক।
বিমানবাহিনীর উইং কমান্ডার আন্নু বলেন, নিহত বৈমানিক আসিম জাওয়াদ রিফাতের মরদেহ মানিকগঞ্জে পৌঁছানোর পর তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে তার মরদেহের কফিনটি একটি ফ্রিজিং গাড়িতে রাখা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানবাহিনীর ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিমান বাহিনীর সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে তিন বাহিনীর পক্ষ থেকে মরহুমের কফিনে পুস্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ নামক একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানে ত্রুটি দেখা দিলে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানটি কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়।
জানা যায়, বিমানটিতে আগুন ধরলে বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বিমানটিকে নদীতে নিয়ে যান দুই বৈমানিক। ঘটনায় আহত তারা। তাদেরকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) নেয়া হয়। সেখানে পাইলট আসিম জাওয়াদ মারা যান।
এএইচ
আরও পড়ুন