মানুষের মলে প্লাস্টিক!
প্রকাশিত : ১৪:৫৪, ২৮ অক্টোবর ২০১৮
সম্প্রতি এক গবেষণায় গবেষকরা মানুষের মলে প্লাস্টিকের উপাদান পেয়েছেন। গবেষণাটি করেছেন অস্ট্রিয়ার একদল গবেষক৷
দেশটির মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনা ও ফেডারেল এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি যৌথভাবে গবেষণাটি করে৷
এই পাইলট গবেষণায় অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, ফিনল্যান্ড, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, রাশিয়া ও জাপানের আটজনের এক সপ্তাহের খাবারের রুটিন পর্যবেক্ষণ করা হয়৷
ঐ আটজনকে বলা হয়, নির্দিষ্ট সপ্তাহে তারা কী কী খেয়েছেন বা পান করেছেন, তা একটা ডায়েরিতে লিখে রাখতে এবং পরবর্তীতে তাদের মলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়৷
দেখা যায়, আটজনের সবাই প্লাস্টিকের প্যাকেটের ভেতর থাকা খাবার খেয়েছেন কিংবা প্লাস্টিক বোতল থেকে পানি খেয়েছেন৷ তাদের কেউই নিরামিষভোজী ছিলেন না৷ প্রত্যেকের মলের নমুনায় প্লাস্টিক পাওয়া যায়৷
‘আমাদের গবেষণাগারে করা এই পরীক্ষায় তাদের মলে আমরা নয় ধরনের প্লাস্টিক পেয়েছি৷ এগুলোর আকার ৫০ থেকে ৫০০ মাইক্রোমিটার, `বলেন রাষ্ট্রীয় পরিবেশ সংস্থার গবেষক বেটিনা লিবমান।’
এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় পশুর পরিপাকযন্ত্রে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক পাওয়া গেছে৷ এমনকি এগুলোর রক্ত, লসিকা ও যকৃতে প্লাস্টিক পাওয়া গেছে৷ যদিও প্রাথমিকভাবে গবেষকরা ধারণা করেন যে, প্লাস্টিকের রাসায়নিকের কারণে পরিপাকযন্ত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে, কিংবা প্লাস্টিক উপাদানের উপস্থিতির কারণে তা ফুলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷
তবে মানুষের শরীরে আসলেই কী এ ধরনের প্রভাব পড়ার আশঙ্কা আছে তা প্রকৃতভাবে নির্ণয়ের জন্য আরো গবেষণা দরকার৷
ঠিক কোন ধরনের খাবার কোন ধরনের প্লাস্টিকের উপস্থিতির কারণ, তা অবশ্য বলতে পারেনি গবেষক দলটি৷
খাবার ছাড়াও মানব শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উৎস হতে পারে গাড়ির টায়ার, নির্মাণ সামগ্রী এবং কসমেটিকের উপাদান৷
অবশ্য ঝুঁকি নিরূপণের জন্য জার্মানির যে ফেডারেল ইন্সটিটিউট কাজ করে, তারা বলছে, প্লাস্টিক মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিনা কিংবা কতটা ক্ষতিকর তা নির্ধরণ করা এখনো সম্ভব হয়নি৷
তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে
এমএইচ/