‘মানুষের মুক্তি আকাঙ্খার মালা গেঁথেছেন তিন কবি’
প্রকাশিত : ২১:৩৪, ২৭ জুলাই ২০১৮
উদীচীর রবীন্দ্র-নজরুল-সুকান্ত জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মানুষের মুক্তি আকাঙ্খার মালা গেঁথেছেন এই মহান তিন কবি। বক্তারা কবিত্রয়ের মানবতাবোধ, বিদ্রোহ ও সাম্যের চেতনায় মানুষকে জাগানোর আহ্বান জানান।
আজ সন্ধ্যায় নগরীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদ আয়োজিত এই জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ও সুকান্ত বিষয়ে পৃথকভাবে আলোচনা করেন, যথাক্রমে উদীচীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাবেক সভাপতি সংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উদীচী নগর সংসদের সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শীশ। আরো বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের নগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি নিবাস দে, অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন সহ-সভাপতি একরাম হোসেন।
অধ্যাপক সফিউদ্দিন আহমদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ মানুষে মানুষে মিলনের কবি, বৈশ্বিক চেতনায় আলোকিত সর্বমানবিকতার কবি। নজরুল রবীন্দ্রনাথের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, নজরুল মানুষের কবি, মানবতার কবি, দ্রোহের কবি ও প্রেমের কবি। সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলকে বিবেচনা করা অত্যন্ত দুঃখজনক।
কামাল লোহানী বলেন, আমাদের আদর্শিক বন্ধু হিসেবে আমরা এই তিন কবিকে স্মরণ করেছি। কিন্তু স্বাধীনতাযুদ্ধের পর রাষ্ট্রিয়ভাবে রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে স্মরণ করা হলেও সুকান্ত উধাও-যা খুব দুঃখজনক। নজরুলকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণার মাধ্যমে তাকে ছোট করা হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন, কারণ তিনি বিশ^মানবতা ও বিদ্রোহের কবি।
অনুষ্ঠানের শুরু এবং শেষে তিন কবির রচিত গান, কবিতা আবৃত্তি ও গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করে সংগঠনের মহানগর, বাড্ডা, কাফরুল, গুলশান, মিরপুর ও সাভার শাখার শিল্পীরা।
এসএইচ/
আরও পড়ুন