মালয়েশিয়া যেতে খরচ ৮৮ হাজার হলেও নিচ্ছে প্রায় ৪ গুণ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ২২:১২, ১ অক্টোবর ২০২২
সরকার ৮৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিলেও মালয়েশিয়ায় যেতে একজন শ্রমিকের খরচ পড়ছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা চলে যাচ্ছে মালয়েশিয়ায় একটি প্রভাবশালী চক্রের কাছে।
জনশক্তি রপ্তানিকারকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে যদি ১০ লাখ কর্মী পাঠানো হয়, তবে দেশের বাইরে চলে যাবে অন্তত ১৩ হাজার কোটি টাকা।
মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে দেশটির সাথে বাংলাদেশের চুক্তি হয় এক বছর আগে। চুক্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশি কোন কোন রিক্রুটিং এজেন্ট শ্রমিক পাঠাবে, তা ঠিক করে দেবে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ।
আর এখন এই শর্তের সুযোগ নিচ্ছে মুষ্টিমেয় কিছু এজেন্ট ও মালয়েশিয়ার একটি চক্র। অভিযোগ আছে, অনৈতিকভাবে বিপুল অর্থ ব্যয় করে ২৫টি এজেন্সি মালয়েশিয়া থেকে লোক পাঠানোর অনুমতি জোগাড় করেছে।
মালয়েশিয়া যেতে কর্মী প্রতি সরকার নির্ধারিত খরচ মাত্র ৮৮ হাজার টাকা। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে একজন কর্মীকে ব্যয় করতে হচ্ছে প্রায় ৪ লাখ টাকা। অভিযোগ রয়েছে, এই ৪ লাখের ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাচ্ছে মালয়েশিয়ান সিন্ডিকেট। এ হিসাবে ১০ লাখ শ্রমিক পাঠালে দেশের বাইরে যাবে অন্তত ১৩ হাজার কোটি টাকা।
গত ডিসেম্বরে মালয়শিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলেও সিন্ডিকেট জটিলতায় এখন পর্যন্ত যেতে পেরেছেন মাত্র ১২শ লোক। তবে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় এসময়ে নেপাল থেকে ৫ লাখ কর্মী নিয়েছে মালয়শিয়া। তারপরও হুশ ফেরেনি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর।
সম্প্রতি জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বায়রায় নির্বাচন হয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙ্গার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনে জিতে দায়িত্ব নিয়েছে নতুন কমিটি। অভিযোগ উঠেছে, এই কমিটি সিন্ডিকেটের সদস্য ২৫ থেকে ৭৫-এ উন্নীত করার চেষ্টা করছে।
শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা চায় না জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো।
বায়রা নেতারা জানান, সিন্ডিকেটের সদস্য সংখ্যা বাড়লেও অভিবাসন ব্যয় কমার সুযোগ নেই।
এসি