মালয়েশিয়ার সারাওয়াকে কনস্যুলার সেবায় নজির স্থাপন
প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৫:২৮, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহায়তায় কুয়ালালামপুর থেকে বিমানে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে পূর্ব মালয়েশিয়ার সাবা সারাওয়াক প্রদেশের রাজধানী কুচিং এর কয়েকটি অঞ্চলে কনস্যুলার সেবা প্রদান করে অনন্য নজির স্থাপন করলেন বাংলাদেশ হাইকমিশন।
জানা গেছে, কুয়ালালামপুর থেকে পূর্ব মালয়েশিয়া সাবা সারাওয়াকে যাতায়াতের একমাত্র বাহন বিমান। সেখানে বর্তমানে বিভিন্ন কলকারখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং প্লান্টেশনে কর্মরত আছেন কয়েক হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক। তাদের সুবিধার্থে হাইকমিশনের এমন উদ্যোগে গত দুই দিনে সুফল ভোগ করেছেন প্রায় ৫ শতাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক। আর এই কনস্যুলার সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিয়োজিত আছেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার।
তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, সাবা সারাওয়াক থেকে কুয়ালালামপুরে বিমানে ১ ঘণ্টা ১০ মিনিটের দূরত্ব। সেখান থেকে একজন শ্রমিক হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে যদি কনস্যুলার সেবার জন্য কুয়ালালামপুরে আসেন তাহলে তার বেতনের একটি বড় অংশই খরচ হয়ে যাবে। তাই গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশনের রাষ্ট্রদূত মুহ. শহীদুল ইসলাম সারাওয়াক প্রদেশ সফর করে কনস্যুলার সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করেন। তারই ধারাবিহকতায় রাজধানী কুচিং এর বাতু তিগা, বেনতুন ও মিরি এলাকায় কনস্যুলার সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পাসপোর্ট আবেদন ও বিতরণের সহযোগিতায় আছেন পাসপোট ও ভিসা শাখার সহকারী সুশান্ত সরকার।
এদিকে, সেবা নিতে আসা কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের এমন সেবা পেয়ে আমরা সত্যি খুবই খুশি। কুয়ালালামপুর যেতে অনেক খরচ প্লেনে যেতে হয়, কাজ কামায় যাবে, পথে বিপদ-আপদের কথা বলা মুশকিল। সেক্ষেত্রে সারাওয়াকে হাতের নাগালে পাসপোর্ট তৈরি এবং গ্রহণ করতে পেরে হাইকমিশনকে ধন্যবাদ জানাই। সর্বদা এইভাবে যদি আমাদের পাশে থাকে তাহলে আমরা উপকৃত হবো।
পাসপোর্ট নিতে আসা রুবেল নামে একজন বলেন, ৫ থেকে ৬ মাস আগে কুয়ালালামপুর গিয়ে পাসপোর্ট করতে দিয়েছিলাম। কিন্তু কাজ কামায় দিয়ে আনতে যেতে পারছিলাম না। আর যাতায়াতের খরচও অনেক বেশি। এখন এখানে পাসপোর্ট পেয়ে খুব ভাল লাগছে।’
টিকে
আরও পড়ুন