মালয়েশিয়ায় অভিবাসী ফোরাম অব এশিয়ার আলোচনা
প্রকাশিত : ২২:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০১৮
অভিবাসী ফোরাম অব এশিয়ার উদ্যোগে মালয়েশিয়ায় তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা শেষ হয়েছে। সম্প্রতি মাইগ্রেন্ট ফোরাম অব এশিয়ার কার্যালয়ে শুরু হওয়া দক্ষিণ এশিয়ার শ্রমিকদের মৌলিক অধিকার আদায়ে করণীয়, সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ও নেপালের সংসদ সদস্যরা।
এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলমের নেতৃত্বে তিনজন এমপি জেবুন্নেছা আফরোজ, মো. ছলিম উদ্দিন তরফদার ও মো. আইনুদ্দিন আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন।
মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশ ও নেপালের কর্মীদের কাজের সম্ভাবনা ও বিভিন্ন সমস্যার বিষয়বস্তু নিয়েই অভিবাসী ফোরাম অব এশিয়ার এ আয়োজন।
বিশ্বের মধ্যে মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী বাংলাদেশিদের বসবাস হওয়ায় এখানে রয়েছে যেমন সম্ভাবনা তেমনি রয়েছে বিভিন্ন সমস্যাও।
তাই অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী আলোচনা সভায় শ্রমিকদের সুবিধার্থে চিকিৎসা ভাতা, ইন্স্যুরেন্স, সময়মত বেতন পরিশোধ, আইনি সহায়তাসহ বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা স্থান পায়।
অনুষ্ঠানের ২য় দিনে শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে মালয়েশিয়ার বার কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দকে বার কাউন্সিলের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিদেশি শ্রমিকদের ন্যায্য আদায়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের জটিলতা নিরসনে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান ইসরাফিল আলম এমপি।
`জিটুজি প্লাস’-এর ভিত্তিতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য সরকার নির্ধারিত মাথাপিছু খরচ ৩৭ হাজার ৫শ টাকা অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করা হলেও দশ সিন্ডিকেটের কারণে সেটা কয়েক গুণ বেড়ে গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে ইসরাফিল আলম বলেন, মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের সুনির্দিষ্ট দশটি রিকুটিং এজেন্টকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি প্রেরণের জন্য নির্বাচন করেছে। সেইজন্য এই দশটি রিকুটিং এজেন্সীর একচেটিয়া ব্যবসায়িক মনোভাবের কারণেই নায্য অভিবাসন ব্যয় ও নৈতিক রিক্রোইটমেন্ট সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রতিষ্ঠা করা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না ।
এ সময় তিনি বলেন, মাইগ্রেন্ট ফোরাম এশিয়া (এমএফএ)র মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদেশি কর্মীদের সমস্যা স্বনাক্তকরণ এবং সমাধানের জন্য প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রেরণ করা। এমনকি জাতি সংঘেও এ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়।
আরও পড়ুন