মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বৈশাখ উদযাপন
প্রকাশিত : ২২:১৩, ১ মে ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩৯, ৩ মে ২০১৮
‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা/এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ এসো এসো…।’ সব অমঙ্গলকে দূর করে মঙ্গলালোকে স্নাত করবে ধরনী। কালের যাত্রা নিরন্তর, নিরবধি। মহাকালের রথ সেই পথযাত্রায় পেরিয়ে গেল ১৪২৪ বাংলা বর্ষের সীমারেখা।
যা কিছু ক্লেদাক্ত, গ্লানিময়, যা কিছু জীর্ণ-বিশীর্ণ বৈশাখের রুদ্র দহনে তা পুড়ে হোক ছাই-এই প্রত্যাশা নিয়ে ১৪২৫ বঙ্গাব্দের পথচলা। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ১৪২৪ বাংলাকে বিদায় জানিয়ে ১৪২৫ বাংলাকে বরণ করতে সোমবার মালয়েশিয়ায় দূতাবাসের আয়োজনে কুয়ালালামপুরের একটি হোটেলের বলরুমে প্রতিবারের ন্যায় এবারও জমজমাট পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
কালের বিবর্তনে আর বিশ্বায়নের নাগরিক হাওয়ায় বৈশাখী মেলার প্রাচীন আদলের আমূল পরিবর্তিত চেহারা হলেও, উৎসব প্রিয় এই আধুনিক ও বর্ণিলভাবে বৈশাখ উৎসবকে উদযাপনের মধ্য দিয়ে নিজেদের স্বকীয় পরিচয় পৌঁছে দিয়েছে বিশ্ব দরবাবে। দূতাবাসের আয়োজনে অংশ নিতে সেখানে সমবেত হন মালয়েশিয়াস্থ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভেনিজুয়েলা, কিউবা, আফগানিস্তান, রাশিয়াসহ ২০টি দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মালয়েশিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মিনিস্টার (পলিটিক্যাল) মো. রইছ হাসান সারোয়ারের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৈশাখে আমাদের মঙ্গল শোভাযাত্রা এখন আন্তর্জতিক স্বীকৃত উৎসব। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’ জাতিসংঘ সংস্থা ইউনেস্কোর অধরা বা ইনট্যানজিবল সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান লাভ করে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং উন্নয়নের মহাসড়ক বেগবান করছেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। এ উন্নয়নে প্রবাসীদের অবদান অনেক। দেশের সুনাম বৃদ্ধির জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
বৈশাখী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফখরুল ইসলাম, দূতাবাসের ডিফেন্স উইং প্রধান এয়ার কমোডর মো. হুমায়ূন কবির, দূতালয় প্রধান ওয়াহিদা আহমেদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি মাসুদ হোসাইন কমার্শিয়াল উইং মো. রাজিবুল আহসান, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম, পাসপোর্ট/ভিসা শাখার ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. মশিউর রহমান তালুকদার, হাইকমিশনের শ্রম শাখার দ্বিতীয় সচিব মো. ফরিদ আহমদ, কমিউনিটি নেতা কামরুজ্জামান কামাল, মনিরুজ্জামান মনির, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ ফোরাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফারুকুল এসলাম শোভা, সহসভাপতি শংকর চন্দ্র পুদ্দার, নাজমুল ইসলাম বাবুল, শাহ আলম হাওলাদার, শাখাওয়াত হক জোসেফ, মাসুদ রানাসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসী। শ্রম কাউন্সেলর মো. সায়েদুল ইসলামের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে বড়দের পাশাপাশি শিশুশিল্পীরা নাচে-গানে মাতিয়ে তোলেন অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম।
টিকে
আরও পড়ুন