মাহমুদুল্লাহকে সাপোর্ট দিতে পারলে চিত্র অন্য রকম হতো : মাশরাফি
প্রকাশিত : ১৬:৫২, ২৮ জানুয়ারি ২০১৮
ফাইনালে দুই দলের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। কিন্তু `ম্যান অব দ্যা ম্যাচ` নির্বাচিত হতে পারলেন না তিনি। কারণ তার ৭৬ রানের ইনিংসে বাংলাদেশ জিতেনি। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২২১ রান তাড়া করে বাংলাদেশ হেরেছে ৭৯ রানে।
গতকাল (শনিবার) শেরে বাংলায় যে পিচে খেলা হয়েছে তাতে ওই রান টপকে যাওয়া সহজ ছিল না। সেখানে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের একার লড়াই করে সফলতা পাওয়া কঠিন ছিল। অন্য কেউ যদি তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে, হয়তো ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো। কিন্তু ফাইনালে যা করার একাই করলেন মাহমুদ উল্লাহ। মুশফিক কিছুক্ষণ তার সঙ্গে হাঁটলেন, কিছুদূর এগিয়েও গেলেন, তারপর রিয়াদকে একা ফেলে সাজঘরে ফিরতে হল তাকে। আর বাকিরা তো একে একে ব্যর্থতা বাড়ালেন।আর তাই তো ফাইনালে বাংলাদেশ হার মানতে হল।
ক্রিকেট বোদ্ধারা একমত যে, লম্বা জুটি গড়ে ওঠার না কারণেই বাংলাদেশের হার। শনিবারের ফাইনাল শেষে এ কথা মাশরাফির কণ্ঠেও ধ্বনিত হল। টাইগার অধিনায়কও মানলেন রিয়াদকে সাপোর্ট দিতে পারলে চিত্রটা অন্যরকম হতে পারতো।
ফাইনাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘আরেক পাশের সাপোর্ট অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। রিয়াদ শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছে। ওই সময় শটস খেলাটা খুব স্বাভাবিক। ৩-৪-৫ থেকে যদি সাপোর্ট পেত তাহলে ওর খেলাটা আরও ডিপে যেত। আমি যখন উইকেট যাই দেখিছি, তখনো ও চেষ্টা করছিল। পার্টনার হেল্প না করতে পারলে আসলেই কঠিন।’
চতুর্থ উইকেটে মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৫৮ রানের জুটি অনেককে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল। তবে ২২ রান করে মুশফিকের বিদায়ের পর ছন্দপতন ঘটে। এ নিয়ে টাইগার অধিনায়ক আরও জনান, ‘মুশফিক যতক্ষণ ব্যাটিং করেছে আমরা ম্যাচে ছিলাম। ওখান থেকে বড় করলে অন্যরকম হত। আমি নিশ্চিত ও নিজেও হতাশ। ভালো সুযোগ ছিল, রিয়াদ যেভাবে ব্যাট করছিল। এমন না যে রান হচ্ছিল না। রানও ৫,৬ করে আসছিল। আমাদের দরকারই ছিল ওটা। কম হলেও কোন কোন ওভারে সমস্যা ছিল না। দলের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে পুরো ম্যাচটাই যখন হেরেছি আমরা সবাই হতাশ।’
কেআই/ এআর