মিটু বিতর্ক: সব সাজানো, মিথ্যা!
প্রকাশিত : ২২:৪২, ১৫ অক্টোবর ২০১৮
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ গত কালই একটি সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। আজ বিদেশ সফর সেরে আকবর দেশে ফেরার পরে সেই ইঙ্গিতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেছেন। তাই এখনও পর্যন্ত যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের মন্ত্রিত্ব কাড়তে কোনও পদক্ষেপ করল না নরেন্দ্র মোদী সরকার। আকবর নিজেও মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পথে হাঁটেননি। উল্টে এক দীর্ঘ বিবৃতিতে অভিযোগকারী মহিলা সাংবাদিকদেরই আক্রমণ করেছেন তিনি। তার দাবি, সব সাজানো, মিথ্যে!
ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন আকবর। তার ওই বিবৃতি নিয়ে মোদী সরকার এবং আকবরের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট সব মহলের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। সেই সূত্রেই প্রশ্ন উঠছে, দেশজোড়া বিক্ষোভের মধ্যে কত দিন আকবরকে রাখতে পারবেন মোদী-অমিত শাহেরা?
রোববার ভোরে আকবর দেশে ফেরার পরে আজ কংগ্রেসের পক্ষে চাপ তৈরি করা হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর উপর। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘নীরবতা ভঙ্গ’ করার দাবি জানিয়েছেন। রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, বিজেপিরও একটি বড় অংশের (যার মধ্যে রয়েছেন অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাজ, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী, মেনকা গাঁধী) দাবি— উনিশের ভোটের আগে এই বিতর্কে জল ঢালতে সরানো হোক আকবরকে। আজ মোদী সরকারের মন্ত্রী রামদাস আঠবালেও বলেন, ‘‘মহিলাদের কেউ অসম্মান করলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এমনকি নানা পটেকর বা আকবরও যদি দোষী প্রমাণিত হন, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’
দেশ জুড়ে নারী বিক্ষোভের যে ঢেউ উঠেছে, আকবরকে না সরালে তা আরও জোরদার হবে বলেই আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট নেতাদের। মেনকা গাঁধী এবং স্মৃতি ইরানি এর আগে মি-টু আন্দোলনের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন। তবে আকবরের ভবিতব্য নিয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি তারা। সূত্রের খবর, মেনকা তার মতো করে ঘটনাটি নিয়ে মতামত জানিয়েছিলেন সরকারের শীর্ষ স্তরে।
সূত্র- আনন্দবাজার
আরকে//