মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রলীগের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
প্রকাশিত : ২৩:৫৪, ২৫ নভেম্বর ২০১৮
দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান জামিলের মিথ্যা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে একটি বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানব বন্ধনে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদ উক্ত মানববন্ধনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগ নেতা তারেক চৌধুরী, চয়নিকা ব্যানার্জি, রিয়াদ খান, সৈকত, ফরহাদ, আতিক, মুন্নাসহ অনেকেই। এ সময় বক্তারা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে। তাই পরিকল্পিত ভাবেই ছাত্রলীগ নেতাদের নাম জড়িয়ে মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলা সাজানো হয়েছে।
তারা বলেন, হাসান জামিল জেনিথ তার স্ত্রী সাবরিনা মুস্তাফিজকে বিভিন্ন সময়ে তার অনুষদের সিনিয়র শিক্ষক, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর ও এ্যাডভাইজারকে জড়িয়ে শ্লীলতাহানির মিথ্যা নাটক সাজিয়েছিলেন। এক সময় যারা বিএনপি জামাতের হয়ে নির্বাচন করেছে তাদেরকে আমাদের বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষী বানানো হয়েছে। এরা চায়না বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলুক।
তারা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি জামাতের কিছু সংখ্যক শিক্ষক নির্বাচনের আগে ক্লাস পরীক্ষা না নিয়ে সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সেশন জটের সম্মুখীন হচ্ছে। ক্যাম্পাসের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বহির্বিশ্ব ক্যাম্পাসের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতা তারেক চৌধুরী বলেন, আমরা ৪৮ ঘন্টার সময় বেঁধে দিচ্ছি। এই সময়ের মধ্যে মামলা প্রত্যাহার না হলে আমরা পরবর্তিতে কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো। নির্বাচনের আগে ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। অযৌক্তিক দাবীর জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রাখা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শাখা শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য আহবান জানান। যে সকল শিক্ষক সরকারের বেতন নিচ্ছেন কিন্তু সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবশ সৃষ্টির পায়তারা করছেন তাঁরা অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরে যান। না হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাবিপ্রবি শখার নেতৃত্ববৃন্দ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে আপনাদের ক্লাসে নিয়ে যেতে বাধ্য করবে।
ছাত্রলীগ এবং শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে সংহতি প্রকাশ করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী শিক্ষক পরিষদ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রফেসর ড.ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ডা.মো. ফজলুল হক বক্তব্য প্রদান করেন।
তারা বলেন শিক্ষার্থীদেরকে এভাবে জিম্মি করে আন্দোলন করা অন্যায়। এর ফলে তাদের শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়ছে। তারা অতিদ্রুত শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহবান জানান। শিক্ষকরা এভাবে শিক্ষার্থীদের নামে মিথ্যা মামলা দিলে তারা আমাদের কাছে কি শিখবেন। এটি গোটা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জার।তার চেয়ে বেশি লজ্জাজনক যে, একজন শিক্ষক তার স্ত্রীকে ছাত্রলীগের সাথে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে গৌরব ও ঐতিহ্যের সংগঠকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন।আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই ।
এসি
আরও পড়ুন