মিথ্যা মামলায় যুবক আটক, বনকর্মকর্তাকে আদালতে তলব
প্রকাশিত : ০৯:৫১, ২২ এপ্রিল ২০২৪
বাগেরহাটের শরণখোলায় বাজার থেকে ডেকে নিয়ে হরিণ শিকারের মামলায় আটক জুয়েল নামের যুবককে জামিন দিয়েছে আদালত। এসময় মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মাহাবুব হোসেনকে পরবর্তী ধার্য্য তারিখে স্বশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন আদালত।
রোববার দুপুরে (২১ এপ্রিল) বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত (১)র বিচারক কামরুল আজাদ ২০ হাজার টাকার বেলবন্ডে জুয়েলকে জামিন দেন।
আটক মোঃ জুয়েল রাজধানীর ঢাকার ডেমরা থানার মোঃ জলালের ছেলে। তিনি ঈদের একদিন আগে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী গ্রামে শ্বশুর বাদশা হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে তাকে পূর্ব সুন্দরবনের বগি স্টেশনের চরখালি টহলফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে হরিণ শিকারের জন্য ফাঁদ পেতেছে এমন অভিযোগে আটক দেখায় বন বিভাগ।
এসময় তার কাছ থেকে ১৫০ ফুট হরিণ শিকারের ফাঁদও উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তবে জুয়েলের পরিবারের দাবি, বনে প্রবেশের ফি অনেক বেশি হওয়ায় জুয়ের এসিএফকে কয়েকবার ফোন দেয়। এতে তিনি বিরক্ত হয়ে বাজার থেকে তাকে ধরে নিয়ে হরিণ শিকারের মামলা দিয়ে জেলে পাঠান।
জুয়েলের স্ত্রী সাথী বেগম বলেন, আমার স্বামী সুন্দরবনে যায়নি। যেদিন মামলা দেয়, তার আগের দিন বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শরণখোলা বাজারের একটি চায়ের দোকান থেকে মোঃ জুলেয়কে ডেকে নিয়ে যায় সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মাহাবুব হোসেন।
জুয়েলের আইনজীবী মো. এনামুল হক বলেন, ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এসিএফ জুয়েলকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন। একাধিক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি আদালতকে অবহিত করা হয়। দীর্ঘ শুনানীর শেষে ২০ হাজার টাকার বেলবন্ডে জুয়েলকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দেন। এসময় আদালত মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মাহাবুব হোসেনকে পরবর্তী মামলার ধার্য্য তারিখে স্বশরীরে আদালতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেন।
তবে প্রথম থেকেই জুয়েলের পরিবারের অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে আসছিলেন শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মাহাবুব হোসেন।
তিনি বলেছিলেন, চরখালী ক্যাম্পের বনরক্ষীরা এক শিকারীকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে। আমাকে তারা বিষয়টি জানিয়েছে। এর বেশি কিছু আমার জানা নেই।
এএইচ
আরও পড়ুন